ঢাকা: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় হেলিকপ্টার থেকে হামলার অভিযোগ তদন্ত করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর)। তাদের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে।
হেলিকপ্টার থেকে হামলার অভিযোগ
ওএইচসিএইচআরের তথ্যানুসন্ধান দল জানিয়েছে, মিরপুর, মহাখালী, ধানমন্ডি, বাড্ডা, মোহাম্মদপুর, রামপুরা, শাহবাগ, বসুন্ধরা, গাজীপুর ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভকারীদের ওপর হেলিকপ্টার থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়েছে। এছাড়া, ১৮ জুলাই রামপুরায় সাউন্ড গ্রেনেডও ছোড়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯ ও ২০ জুলাই হেলিকপ্টার থেকে রাইফেল ও শটগান দিয়ে গুলি ছোড়া হয়েছে। বিশেষ করে বাড্ডা, বসুন্ধরা, গাজীপুর, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, মহাখালী, মোহাম্মদপুর ও রামপুরা এলাকায় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে দেখা গেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বক্তব্য
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র্যাবের মহাপরিচালক স্বীকার করেছেন যে, তারা হেলিকপ্টার থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছেন। তবে গুলি চালানোর বিষয়টি তারা নিশ্চিত করতে পারেননি।
এদিকে, র্যাব জানিয়েছে, তারা ৭৩৮টি কাঁদানে গ্যাসের শেল, ১৯০টি সাউন্ড গ্রেনেড এবং ৫৫৭টি স্টান গ্রেনেড ছুড়েছে। তবে তাদের দাবি, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত হেলিকপ্টার থেকে কোনো রাইফেল বা শটগান দিয়ে গুলি ছোড়া হয়নি।
তদন্তের প্রয়োজনীয়তা
ওএইচসিএইচআর বলেছে, যেহেতু সরকার আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রেখেছিল, তাই ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। ফলে হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানো হয়েছিল কি না, তা নিশ্চিত করা কঠিন।
তবে তারা মনে করছে, বিক্ষোভকারীদের ওপর থেকে আসা কিছু আঘাত রাইফেল বা শটগানের গুলির কারণে হতে পারে। এটি আরও তদন্তের বিষয়, যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পূর্ণ সহযোগিতা প্রয়োজন।
আপনার মতামত লিখুন :