বাংলাদেশ সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫: ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্মরণ

দৈনিক প্রথম সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫, ১১:০১ এএম

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫: ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্মরণ

আজ শুক্রবার জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে পালন করবে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষায় যারা সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন, সেই ভাষা শহীদদের স্মরণ করে সারা দেশে দিবসটি পালিত হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও দিবসটি পালিত হবে, কারণ ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

এবারের দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে— ‘মেক ল্যাঙ্গুয়েজেস কাউন্ট ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’।

ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভোর থেকে সর্বস্তরের মানুষ খালি পায়ে এসে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে। "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি" গানটি গাইতে গাইতে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি না দিয়ে উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বের করা মিছিলে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরও অনেকে।

ভাষা আন্দোলনের এই সংগ্রামের মধ্য দিয়েই বাঙালির স্বাধীনতার চেতনা তীব্র হয়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।

দিবসটি উপলক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বাণীতে বলেন, "শত বছরের শোষণ ও শাসনে জর্জরিত বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের প্রথম জয়যাত্রা ছিল ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত রচিত হয়েছিল।" তিনি আরও বলেন, "এই দিনে আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, আবদুস সালাম, রফিক উদ্দিন আহমদ, শফিউর রহমানসহ অনেকেই মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষায় প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন।"

মাতৃভাষা ও শহীদ স্মরণে আজকের একুশে
জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হলে জনসাধারণের ঢল নামে শহীদ মিনারে

ড. ইউনূস আরও উল্লেখ করেন, "১৯৫৬ সালে বাংলা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পায় এবং ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে সরকারি ছুটি দেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো একে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়। সরকার বাংলা ভাষার প্রযুক্তিগত ব্যবহার নিশ্চিত করতে ও বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে।"

তিনি দেশের সকল মানুষকে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫-এর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং এই উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।

Link copied!

সর্বশেষ :