রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আন্দোলনকারীদের অবরোধ ও বিক্ষোভের কারণে জনদুর্ভোগ বাড়ছে বলে অভিযোগ তুলছেন সাধারণ মানুষ।
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ দাবি করছে, যেহেতু এই কলেজে ইন্টারমিডিয়েট নেই এবং এখানে শুধুমাত্র স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পাঠদান করা হয়, তাই এটিকে বিশ্ববিদ্যালয় করা উচিত। আন্দোলনকারীরা ইতোমধ্যে কলেজের নামফলক ঢেকে ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ লিখে নিজেদের দাবির প্রতি প্রতীকী সমর্থন দেখিয়েছেন।
তবে, আন্দোলন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেকেই দাবি করছেন, আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য তৈরি করা হচ্ছে, যা জনসাধারণের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। আন্দোলনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে গিয়ে কিছু শিক্ষার্থী ভ্লগ প্রকাশ করলেও, বেশির ভাগ প্রতিক্রিয়া ছিল ব্যঙ্গাত্মক।
এর আগে, আন্দোলনের সময় কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের অভিযোগ ওঠে, যেখানে নারী ও শিশুসহ সাধারণ যাত্রীরা আহত হন। বিষয়টি ফৌজদারি অপরাধ হলেও, এ ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। ফলে আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে, আন্দোলনের ফলে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের চাকরির বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবি তোলা যৌক্তিক হলেও, বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা অর্জনের জন্য শুধু আন্দোলন যথেষ্ট নয়।
বর্তমানে সরকার ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাধারণ নাগরিকরা, যাতে আন্দোলনের নামে জনজীবনে ভোগান্তি না বাড়ে
আপনার মতামত লিখুন :