তাবলিগ জামাতের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শবে বরাতের পবিত্র রাতে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে এই ঐতিহাসিক আয়োজন শুরু হবে, যা মুসল্লিদের মাঝে বাড়তি উৎসাহ ও ধর্মীয় আবেগ সৃষ্টি করেছে।
টঙ্গীর তুরাগ তীরে দীর্ঘ ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা বিশ্ব ইজতেমা এবার আরও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ও বরকতময় বলে মনে করা হচ্ছে। এই রাতে লাখো মুসল্লি আল্লাহর কাছে মাগফিরাত, রহমত ও কল্যাণ কামনা করবেন।
জামিয়া কাশিফুল উলুম ঢাকার মহাপরিচালক মাওলানা সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ বলেন, “শবে বরাত এমন একটি পবিত্র রাত, যেখানে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বান্দাদের জন্য রহমত ও মাগফিরাতের দরজা উন্মুক্ত করা হয়। এই রাতে গুনাহ থেকে মুক্তি এবং তাকদির নির্ধারণ করা হয়। বিশ্ব ইজতেমার মতো বৃহৎ ইসলামী জমায়েত এই রাতকে আরও বেশি বরকতময় করে তুলবে।”
ইজতেমার আয়োজক কমিটির মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম জানান, শবে বরাতে বিশ্ব ইজতেমা হওয়ায় দেশ-বিদেশের মুসল্লিদের মধ্যে বিশেষ আবেগ কাজ করছে। ইতোমধ্যে লাখো মুসল্লি ইজতেমা মাঠে উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। তারা শবে বরাতের রাতে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণের জন্য বিশেষ দোয়া করবেন।
পরদিন মুসল্লিরা রোজা পালন করে ঐতিহাসিক জুমার নামাজে শরিক হবেন। আয়োজকরা জানিয়েছেন, জুমার নামাজে প্রায় ২০ লাখ মুসল্লির উপস্থিতি আশা করা হচ্ছে।
বিশ্ব ইজতেমার আয়োজকরা মনে করছেন, শবে বরাতের রাত মুসলিম উম্মাহর জন্য এক বিশেষ সুযোগ। এবারের ইজতেমা সেই সুযোগকে আরও অর্থবহ করে তুলেছে। ইসলামি খেদমতে নিজেকে নিয়োজিত করতে এই পবিত্র ইজতেমায় অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন আয়োজকরা।
আপনার মতামত লিখুন :