অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড ছিল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য একটি আন্তর্জাতিক কৌশল। এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সংবিধানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে, এবং এর মাধ্যমেই পঞ্চদশ সংশোধনী বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছিল।
শনিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)-এ বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এর মন্তব্য
“পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য কমিশন গঠন করেছে এবং সঠিক তদন্তের পর বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, "পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আমরা জাতির সূর্য সন্তানদের হারিয়েছি। তাদের হারানোর ফলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত এসেছে। ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তার হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে নৈরাজ্যবাদের জন্ম হয়েছিল।"
অ্যাটর্নি জেনারেল আরো অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিডিআরের পোশাক পরে এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল। তিনি বলেন, "বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করা হয়েছিল, এবং দেশকে চোরাবালির সন্ধিক্ষণে দাঁড় করানো হয়েছিল।"
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচারের দাবিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ১০ দফা দাবি উত্থাপন করেন। তার দাবি, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দেশে ফিরিয়ে আনা উচিত অথবা ভারতীয় সরকারের সহযোগিতায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এদিনের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে তেজগাঁও কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হন। প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিক, সাংবাদিক মনিরুজ্জামান মিশন ও সাংবাদিক মো. আতিকুর রহমান।
আপনার মতামত লিখুন :