আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলায় এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে, আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) গণহত্যার মামলার শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই নির্দেশনা দিয়েছেন।
এদিকে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা ৪৬ জনের মধ্যে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাদের ট্রাইব্যুনালে তোলা হলো। কড়া নিরাপত্তায় সকাল ১০টার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে ১৩ আসামিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এই ১৩ জন আসামি হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ড. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী, শাজাহান খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। অন্য একটি মামলায় রিমান্ডে থাকার কারণে আব্দুর রাজ্জাককে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।
এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তরা অপরাধ সংঘটনের নির্দেশ দিয়েছেন, পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সরাসরি জড়িত ছিলেন এবং অপরাধে সহযোগিতা করেছেন। তিনি আরও জানান, স্বরাষ্ট্র সচিব ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি এসব অপরাধে সম্পৃক্ত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা দেওয়া, পরিকল্পনায় থাকা, অপরাধ প্রতিহত না করা, এবং অপরাধীদের শাস্তি না দেওয়া—এগুলো সবই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের আওতায় অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।
আপনার মতামত লিখুন :