জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশন আসন্ন। অধিবেশনে অংশ নিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর রওনা দেবেন। তার সফর সঙ্গী হবেন ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এরপর নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় অনুযায়ী ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে নির্ধারিত বক্তৃতা দেবেন বাংলাদেশের অন্তরবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। এরপর রাতে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার কথা রয়েছে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে বেশ কয়েকটি দেশের শীর্ষ নেতাদের সাথে তার বৈঠকের কথা রয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, অধিবেশনের ফাঁকে বৈঠক হতে পারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে। এছাড়াও সম্ভাবনা আছে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর সাথে বৈঠকে বসার।
নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক শফ এবং বাহরাইনের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী সালমান বিন হামাদ বিন ইসা আল খলিফা সাথে বৈঠকে বসার সম্ভাবনাও রয়েছে। এই তালিকায় আরও আছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন, এছাড়াও আছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা।
তাদের পাশাপাশি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক এবং শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডিসহ বেশ কয়েকটি সংস্থার প্রধান ড. ইউনূসের সাথে সাক্ষাত করার কথা রয়েছে।
তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের বিষয়টি এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যেই রয়েছে।
সফরের রোডম্যাপ অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেয়ার কথা রয়েছে ড. ইউনূস এর। এর পাশাপাশি নিউইয়র্কে অবস্থানকালীন সময় সামাজিক ব্যবসা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র ব্যবসায়ী পরিষদের সভায় অংশ নেবেন তিনি৷
তবে এ সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উঠবে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো সংবাদ পাওয়া যায় নি।
আপনার মতামত লিখুন :