গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পাঁচজন গবেষক ২০২৪ সালের ‘ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে ‘গবেষণা ও উদ্ভাবন’ শীর্ষক এক সম্মেলনে তাঁদের এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া সম্মেলনটি শাবিপ্রবির গবেষণা কেন্দ্রের ১২তম বার্ষিক সম্মেলন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এম আমিনুল ইসলাম। শাবিপ্রবির সহ-উপাচার্য মো. সাজেদুল করিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন, শাবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ মো. ইসমাইল হোসেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ হোসাইন আল মামুন এবং পূবালী ব্যাংকের উপপরিচালক আহমেদ এনায়েত মনজুর।
এ বছর ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত পাঁচজন গবেষক হলেন:
- রসায়ন বিভাগ: অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান খান
- বন ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ: অধ্যাপক আবু সাঈদ আরফিন খান
- কেমিকৌশল ও পলিমারবিজ্ঞান বিভাগ: অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান
- জীবপ্রযুক্তি ও জিন প্রকৌশল বিভাগ: সহযোগী অধ্যাপক নুরুন্নবী আজাদ
- অর্থনীতি বিভাগ: সহকারী অধ্যাপক তারিক আজিজ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গবেষকদের এই অর্জনকে অত্যন্ত গৌরবজনক বলে উল্লেখ করেছে। শাবিপ্রবির সহ-উপাচার্য মো. সাজেদুল করিম বলেন, ‘গবেষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যে অবদান, তা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও স্বীকৃতি পাচ্ছে। এই সম্মাননা তাঁদের গবেষণাকে আরও উৎসাহিত করবে।’
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত গবেষকদের একজন, অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘এমন স্বীকৃতি গবেষণার প্রতি আমাদের আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং ভবিষ্যতে আরও মানসম্পন্ন গবেষণা প্রকাশে অনুপ্রাণিত করবে।’
শাবিপ্রবির গবেষণা কেন্দ্র প্রতিবছর এই সম্মেলনের আয়োজন করে, যেখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণায় বিশেষ অবদান রাখা শিক্ষকদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। গবেষণা ও উদ্ভাবনের অগ্রগতিতে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার পরিধি ও গুণগত মান বৃদ্ধি পেলে তা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। গবেষকদের স্বীকৃতি প্রদান ও গবেষণা কাজে অনুপ্রেরণা দেওয়ার এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ।
আপনার মতামত লিখুন :