হাসিনার গোপন আয়নাঘর নামে পরিচিত বন্দিশালার ভয়াবহ সত্য উন্মোচিত হয়েছে। বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পরিদর্শন শেষে বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ‘আইয়ামে জাহেলিয়া’ প্রতিষ্ঠা করেছিল।
প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, "এটি অবিশ্বাস্য! মনে হয় না, আমরা আমাদের সমাজের কথা বলছি। এখানে যে নৃশংসতা হয়েছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।"
ফ্যাসিস্ট হাসিনার গোপন আয়নাঘর
হাসিনার গোপন আয়নাঘর ছিল একাধিক গোপন বন্দিশালা, যেখানে নিরপরাধ মানুষদের সন্ত্রাসী বা জঙ্গি আখ্যা দিয়ে বছরের পর বছর বন্দি রাখা হতো। সরকারবিরোধী ব্যক্তিদের ধরে এনে নির্যাতন করা হতো বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই আয়নাঘরগুলোর অবস্থান সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরা এলাকায় এ ধরনের বেশ কয়েকটি বন্দিশালা ছিল।

বন্দিশালায় কী ধরনের নির্যাতন হতো?
পরিদর্শনের পর অধ্যাপক ইউনূস বলেন, "যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের মুখ থেকে যা শুনেছি, তা অকল্পনীয়। কিছু মানুষকে এমন খুপরিতে রাখা হতো, যা মুরগির খাঁচার চেয়েও ছোট।"
দেশজুড়ে ‘গোপন আয়নাঘর’ ছড়িয়ে আছে!
প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় হাসিনার গোপন আয়নাঘর ছিল। তবে অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের বন্দিশালা ছিল, যার প্রকৃত সংখ্যা এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
গুম ও নির্যাতনের বিচার হবে
গুম ও নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। সরকার অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনবে।”
তিনি আরও বলেন, "আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পুনরাবৃত্তি হবে না। সেজন্য সরকার বিভিন্ন কমিশন গঠন করেছে।"

হাসিনার গোপন আয়নাঘর পরিদর্শনে কারা ছিলেন?
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন:
- আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল
- পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
- গৃহায়ণ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান
- তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম
হাসিনার গোপন আয়নাঘর নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন। এই নির্যাতন কেন্দ্রগুলোর বিচার ও তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট পাবেন এখানে।
আপনার মতামত লিখুন :