রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় পাঠ্যপুস্তকে `আদিবাসী` শব্দ যুক্ত করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আটজন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকও আছেন। হামলার এ ঘটনায় গণসংহতি আন্দোলন তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তি দাবি করেছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এক যৌথ বিবৃতিতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান এই হামলার নিন্দা জানান।
সেদিন, `স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি` নামে একটি সংগঠন পাঠ্যপুস্তক থেকে `আদিবাসী` শব্দটি বাদ দেওয়ার পক্ষে, এনসিটিবি ভবন ঘেরাও করে পাঁচ দফা দাবি জানায়। অপরদিকে, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা এই শব্দটি পুনর্বহালের দাবিতে একই স্থানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিতে আসেন, যার ফলস্বরূপ দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এ হামলার পর গণসংহতি আন্দোলন অভিযোগ করে, এই ধরনের সহিংসতা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি বিরোধিতা এবং জাতিগত সংহতির প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ। তারা এও উল্লেখ করেন, দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিটি নাগরিকের অধিকার এবং মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য আরও উন্নত হতে হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, `দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা এবং অধিকার সমানভাবে রক্ষা করার জন্য আগামী নির্বাচনে সংবিধান সভার নির্বাচন হওয়া উচিত।`
এদিকে, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির পক্ষ থেকেও এই হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে। কমিটির সদস্যরা বলেন, `এ ধরনের হামলা গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অধিকারকেই ক্ষুণ্ন করে।` হামলার ঘটনায় ১১ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, যার মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলও এ হামলার তীব্র নিন্দা করেছে। ছাত্রদলের নেতা রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং নাছির উদ্দীন নাছির অভিযোগ করেছেন, ছাত্রদের আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। তারা আরও বলেন, এই হামলার মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে। এ হামলার প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার, ১৮ জানুয়ারি, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি একটি প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :