গাজীপুরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় আহত হওয়া শিক্ষার্থী আবুল কাশেমের মৃত্যু ঘিরে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও কফিন মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুরে হামলার শিকার হন আবুল কাশেম। তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের কারণে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা চললেও তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরে ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ময়নাতদন্ত শেষে কাশেমের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। সেখানে তার জানাজায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। ছাত্রনেতারা হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তোলেন।
জানাজা শেষে শহীদ মিনার থেকে কফিন মিছিল বের হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। শাহবাগে ছাত্রনেতারা বলেন, আওয়ামী লীগের নাম মুছে না ফেলা পর্যন্ত বাংলার মাটি কলঙ্কমুক্ত হবে না।
১২ ফেব্রুয়ারির রাতে মরদেহ গাজীপুরে নেয়া হয়। ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজবাড়ী মাঠে দ্বিতীয় জানাজা এবং বোর্ডবাজারে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে কাশেমকে দাফন করা হয়।
কাশেমের মৃত্যুর ঘটনায় গাজীপুর জয়দেবপুর শিববাড়িতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে খাটিয়া মিছিল এবং গায়েবানা জানাজার আয়োজন করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা দ্রুত সুষ্ঠু বিচার ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং সংঘাত এড়ানোর চেষ্টা করছে।
আপনার মতামত লিখুন :