অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ৩৬ দিনের আন্দোলন দমন করতে জড়িত এবং পলাতক অপরাধীদের ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হবে। তিনি আরও জানান, এসব পলাতক ব্যক্তি যদি বিচারের সম্মুখীন না হয়, তবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
রাজধানীর এফডিসিতে আয়োজিত `জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায়` শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। মো. আসাদুজ্জামান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর সময় পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি মিথ্যার এত প্রচার করেছিলেন যে নিজেও তা সত্য হিসেবে বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন।
তিনি বলেন, "শেখ হাসিনার মিথ্যাচার ছিল এতটাই গুরুতর যে, এটি গোয়েবলসের কৌশলকেও হার মানিয়েছে। শেখ হাসিনার গত ১৫ বছরের শাসনকালে দেশে কার্যত এক ব্যক্তির শাসন কায়েম হয়েছিল। এসময় জাতীয় সংসদও একক কর্তৃত্ববাদে পরিচালিত হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংশোধনের মাধ্যমে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক অপরাধ করেছে, যার সুবিধা আওয়ামী লীগ নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।"
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, "জুলাই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের ফিরিয়ে এনে মানবতাবিরোধী অপরাধ আইন ১৯৭৩ এর আওতায় বিচার করা হবে। খুব শিগগিরই ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হবে এবং স্বচ্ছতার স্বার্থে টেলিভিশনে বিচার কার্যক্রম সম্প্রচার করার সম্ভাবনা যাচাই করা হচ্ছে।"
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, "জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। এ হত্যাকাণ্ডের রক্তাক্ত অধ্যায়টি পাঠ্যপুস্তকে স্থান পাবে। সরকারের ওই সময়কার দমনমূলক নীতি ছিল তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার নিকৃষ্ট উদাহরণ, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।"
আপনার মতামত লিখুন :