বাংলাদেশ শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে গনহত্যার দোসর ১৩ জন আওয়ামীলীগ নেতাকে

দৈনিক প্রথম সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৪, ০৫:০৩ পিএম

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে গনহত্যার দোসর ১৩ জন আওয়ামীলীগ নেতাকে

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের ৯ জন সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ মোট ১৩ জন নেতাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর ২০২৪) সকাল ১০টার দিকে তাদের পুলিশি প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। তারা ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত।

হাজিরকৃত নেতারা হলেন:

১. সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
২. সাবেক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান
৩. সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি
৪. ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন
৫. জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু
৬. সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক
৭. সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম
৮. আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক
৯. সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান
১০. সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার
১১. সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর
১২. সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক–ই ইলাহী চৌধুরী
১৩. সাবেক বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান

তবে অসুস্থতার কারণে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে হাজির করা সম্ভব হয়নি।

২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এই মামলায় ট্রাইব্যুনালে প্রথমবারের মতো আসামিদের হাজির করা হলো। এর আগে ২৭ অক্টোবর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল তাদের হাজির করার নির্দেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় এই গণহত্যা সংঘটিত হয়। আন্দোলনের চাপে ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এরপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একে একে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে।

আগামী শুনানি ও অন্যান্য আসামিরা

আগামী ২০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে গ্রেপ্তার থাকা পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বরখাস্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, সাবেক ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হিল কাফী, সাভারের সাবেক ওসি আবুল হাসান, এবং পুলিশ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম ও আরাফাত হোসেনকে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসামিদের হাজির করাকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট এবং ট্রাইব্যুনাল এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়াটা দেশজুড়ে আলোচিত ও নজরকাড়া একটি ঘটনা।

 

Link copied!

সর্বশেষ :