সংযমের মাস রমজান। রোজার অন্যতম আকর্ষণ হলো সারাদিন রোজা রাখা এবং দিনের শেষে ইফতার করা। ইফতারের পর শরীরে শক্তি ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে ইফতার, ইফতার পরবর্তী খাবার এবং কিছু অভ্যাস অস্বাস্থ্যকর হওয়ার কারণে বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। তাই এই সময় কিছু কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা প্রয়োজন।
অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পানে বিরত থাকুন
ঠান্ডা পানির তাপমাত্রা, আর শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকে। তাই পানির তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক রাখতে শরীরের অতিরিক্ত শক্তি ব্যয় করতে হয়। এতে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এ ছাড়া এতে অ্যাজমা, টনসিলাইটিস কিংবা ঠান্ডাজনিত সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন
বাইরের খাবার বেশির ভাগ সময় অস্বাস্থ্যকর হয়। বেশি ভাজা, বেশি ট্রান্সফ্যাট, বেশি লবণের ব্যবহার থাকে এতে; সঙ্গে থাকে কৃত্রিম রং। এতে শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
গোসল করবেন না
ইফতারের পর পরই গোসল করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে পাকস্থলীর সরবরাহকৃত রক্তের পরিমাণ কমে যায়; হজমে সমস্যা হয়।
অতিরিক্ত খাবার খাবেন না
ইফতারের সময় এবং ইফতারের পর অনেক বেশি খাবার একসঙ্গে খাবেন না। এতে ক্লান্তিবোধ, বদহজম, গ্যাস, পেটে ব্যথাসহ নানা সমস্যা হতে পারে।
ধূমপানে বিরত থাকুন
ইফতারের পর ধূমপানের কারণে ধমনীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে। এতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পরিবহনে বাধার সৃষ্টি হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
চা পান করবেন না
চায়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ টনিক এসিড থাকে। এটি খাদ্য নালীর স্বাভাবিক পিএইচকে পরিবর্তন ঘটিয়ে হজমে সমস্যা করে।
রোগীরা বেশি পরিশ্রমের ব্যায়াম করবেন না
ইফতারের পর হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারেন। তবে জিমের বেশি পরিশ্রমের ব্যায়াম আপনাকে আরো ক্লান্ত করে দেবে।
শোবেন না
ইফতারের পর পরই শুয়ে পড়লে খাবার ঠিকঠাক হজম হয় না। পরিপাকে ব্যাঘাত ঘটে এবং শরীরে ক্লান্তভাব তৈরি হয়।
আপনার মতামত লিখুন :