আমাদের জীবনে এমন রাত প্রায়ই আসে, যখন আমরা ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না। কিন্তু তার পরদিনও কাজের চাপে ব্যস্ত থাকতে হয়। দেখা যায়, যেদিন রাতে ঘুম কম হয়েছে, সেদিনই কাজের পরিমাণ বেশি! যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। কিন্তু প্রতি ৩ জনে ১ জন এই পরিমাণ ঘুমাতে পারেন না।
মাত্র এক রাত কম ঘুমালে কী হয়?
গবেষণা বলছে, মাত্র এক রাত কম ঘুমালেই—
- নেতিবাচক চিন্তা ও আবেগ প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
- নতুন মায়েদের পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের অন্যতম কারণ এটি।
- সপ্তাহে তিন দিন কম ঘুমালে হৃদ্রোগ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
- শারীরিক ক্লান্তি বাড়ে, মনোযোগ কমে যায় এবং সৃজনশীল কাজে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
- মন খিটখিটে হয়, হতাশা বাড়ে, তুচ্ছ কারণে প্রতিক্রিয়া দেখানোর প্রবণতা বাড়ে।
- পুরোনো তথ্য বা স্মৃতি মনে করতে সমস্যা হয়, নতুন তথ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ কঠিন হয়ে পড়ে।
- এনার্জি কমে যায়, মাথাব্যথা হয়, এমনকি পেশিতে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
রাতে ঘুম কম হলেও দিনটি সুন্দরভাবে কাটাবেন কীভাবে?
১. পর্যাপ্ত পানি পান করুন: বিশেষ করে দিনের প্রথম ভাগে ১ থেকে ১.৫ লিটার পানি খান।
২. প্রাকৃতিক আলো গ্রহণ করুন: সকালের রোদ গায়ে লাগান, এটি সার্কাডিয়ান ছন্দ ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
৩. কাজের ফাঁকে ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নিন: দুপুরের খাবারের পর ১৫-২০ মিনিটের ঘুম আপনাকে সতেজ রাখতে পারে।
৪. চা বা কফি সঠিক সময়ে খান: সকালে বা দুপুরের আগে কফি পান করুন, তবে লাঞ্চের পর এড়িয়ে চলুন।
৫. গোসল ও বিশ্রাম নিন: শ্যাম্পু করে ভালোভাবে গোসল করুন, যা আপনার শরীর ও মনকে সতেজ করবে।
৬. সঠিক সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন: প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন এবং যদি নিয়মিত ঘুমের সমস্যা হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার মতামত লিখুন :