জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) আগামী তিন মাসের মধ্যে এক লাখ শিক্ষকের নিয়োগের ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে। এজন্য এনটিআরসিএ দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর শূন্য পদের তালিকা চেয়ে তথ্য আহ্বান করেছে। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে এ নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে।
শূন্য পদ ও চাহিদা আহ্বান
এনটিআরসিএ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো ২০২৭ সাল পর্যন্ত সম্ভাব্য শূন্য পদের চাহিদা জানাতে বলা হয়েছে। ১০ নভেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে শূন্য পদের তথ্য পাঠাতে পারবে এবং চাহিদা ফি জমা দেওয়া যাবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
গণবিজ্ঞপ্তির সম্ভাব্য শূন্য পদ
এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রায় ১ লাখ শূন্য পদ থাকতে পারে। পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে ৯৭ হাজার পদের মধ্যে ১৯,৫৮৬ পদ পূরণ হয়েছে, ফলে ৭৭,৫০০ পদ এখনও ফাঁকা রয়েছে। তাছাড়া চলতি বছরে ২০ থেকে ২৫ হাজার শিক্ষকের অবসরের কারণে নতুন শূন্য পদ তৈরি হয়েছে।
নিয়োগের প্রস্তুতি
এনটিআরসিএ-র নিয়োগ বিভাগ জানিয়েছে, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ায় যোগ্য প্রার্থীর সংকট এবার কাটবে। ফলে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বড় পরিসরে শিক্ষক নিয়োগ করা সম্ভব হবে। প্রাথমিক তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে এ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির তথ্য
গত ৩১ মার্চ পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়, যেখানে মোট শূন্য পদ ছিল ৯৬,৭৩৬। স্কুল-কলেজের শূন্য পদ ছিল ৪৩,২৮৬ এবং মাদ্রাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৩,৪৫০। ২১ আগস্ট প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯,৫৮৬ জন প্রার্থীকে নিয়োগে সম্মতি দেওয়া হয়।
এনটিআরসিএ-এর শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম
২০০৫ সাল থেকে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে আসছে। প্রথম ১০ বছরে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির হাতে ছিল। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে এনটিআরসিএকে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ক্ষমতা প্রদান করা হয়। পরবর্তী পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এনটিআরসিএ এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষকের নিয়োগ সুপারিশ করেছে।
উপসংহার
দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট পূরণের লক্ষ্যে আগামী তিন মাসের মধ্যে এনটিআরসিএ ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নতুন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্ভাব্য শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করায় ভবিষ্যতে নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও দ্রুততর হবে।
আপনার মতামত লিখুন :