বাংলাদেশ শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত: হাইকোর্টের আদেশ

দৈনিক প্রথম সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৪, ০৮:০৪ পিএম

প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত: হাইকোর্টের আদেশ

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত। ছবি: সংগৃহীত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীর নিয়োগপত্র প্রদান স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করায় আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর, ২০২৪) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর মোহাম্মদ আজমী।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফলাফল গত ৩১ অক্টোবর প্রকাশিত হয়। এতে ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। এই ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সংশোধিত লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ২২ এপ্রিল প্রকাশিত হয়, যেখানে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। এর পর ২৯ মার্চ মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।

আগামীকাল ২০ নভেম্বর থেকে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগপত্র প্রদান করার কথা ছিল। তবে হাইকোর্টের রায়ের কারণে তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

নিয়োগ পরীক্ষার পূর্ববর্তী ধাপগুলোতে ব্যাপক প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা গেছে। প্রথম ধাপে ২২ এপ্রিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রতি পদের জন্য ২৯ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার সময়সূচি এবং স্থান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছিল।

এদিকে পরীক্ষার সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। ২০ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল। অতিরিক্ত নিরাপত্তার কারণে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। অনেক জরুরি কাজে অধিদপ্তরে এসে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে না পেরে ফিরে গেছেন।

হাইকোর্টের আদেশ এর ফলে নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। রিটকারীদের আইনজীবীদের দাবি, কোটা পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়নি যা বৈষম্যমূলক। অন্যদিকে এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এই জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে। প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং সুষ্ঠু প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

Link copied!

সর্বশেষ :