সফলভাবে নিজেদের নতুন ধরনের মধ্যবর্তী-পাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য একটি সলিড-ফুয়েল ইঞ্জিনের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দূরবর্তী মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য উত্তর কোরিয়ার ডিজাইন করা আরও শক্তিশালী ও দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টার অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ।
উচ্চ-প্রযুক্তিগত অস্ত্র ব্যবস্থার মধ্যে অন্যতম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। ২০২১ সালে প্রকাশ্যে এই অস্ত্র প্রবর্তনের ঘোষণা দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান হুমকির কারণেই এই অস্ত্র তৈরির দাবি করেন তিনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মতো পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি আধুনিক অস্ত্রের ভাণ্ডার চান কিম।
কেসিএনএ জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) উত্তর কোরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য মাল্টি-স্টেজ সলিড-ফুয়েল ইঞ্জিনের গ্রাউন্ড জেট পরীক্ষা পরিচালনা করেছেন কিম।
প্রতিবেদনে কিমকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, মধ্যবর্তী-পাল্লার নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের কৌশলগত মূল্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডকে লক্ষ্য করা আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতোই গুরুত্বপূর্ণ এবং ‘শত্রুরা এটি সম্পর্কে ভালো জানে’।
সংবাদমাধ্যম পলিটিকো বলছে, উত্তর কোরিয়ার হাতে বা প্রস্তুত প্রক্রিয়ায় থাকা মধ্যবর্তী-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এমন অস্ত্র ব্যবস্থা যা প্রাথমিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গুয়ামে আক্রমণ করার লক্ষ্যে করা হয়ে থাকতে পারে, যেখানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।
সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রেঞ্জ বা পরিসীমা ঠিক করার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপে মার্কিন সামরিক স্থাপনার মতো কাছাকাছি লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :