আল-কায়েদার প্রয়াত প্রধান ওসামা বিন লাদেনের ছেলে ওমর বিন লাদেনকে ফ্রান্স থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টের জেরে ফ্রান্স সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর এক অভিযানে ওমরের বাবা ওসামা বিন লাদেন নিহত হন। ওসামা বিন লাদেনের ২০ জনের বেশি সন্তান আছে যাদের মধ্যে ওমর অন্যতম।
৪৩ বছর বয়সী ওমর বিন লাদেনের জন্ম সৌদি আরবে। সেখানেই তিনি তার শৈশবকাল কাটান। এরপর তিনি সুদান ও আফগানিস্তানে অবস্থান করেন। ১৯ বছর বয়সে তিনি তার বাবা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গ ত্যাগ করেন। ২০১৬ সাল থেকে তিনি উত্তর ফ্রান্সের নরম্যান্ডি এলাকায় বসবাস শুরু করেন। তিনি একজন চিত্রশিল্পী, মূলত নিজের ছবি আঁকার দক্ষতা উন্নত করার জন্যই তিনি ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন।
ফ্রান্সের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রতাইয়ু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) জানান, ওমর বিন লাদেন একজন ব্রিটিশ নাগরিকের স্বামী হিসেবে নরম্যান্ডির ওরনি অঞ্চলে বসবাস করছিলেন। তবে গত বছর তিনি সন্ত্রাসবাদের পক্ষে একটি পোস্ট দেন। যা তাকে ফ্রান্স ছাড়ার আদেশের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, এই আদেশের সঙ্গে নিষেধাজ্ঞায়ও সই করা হয়েছে যাতে ওমর বিন লাদেন কখনোই ফ্রান্সে ফিরে আসতে না পারেন।
ওমর বিন লাদেন ইতিমধ্যেই ফ্রান্স ছেড়েছেন কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। ওমর তার চেয়ে ২০ বছরের বড় ব্রিটিশ নারী জেন ফেলিক্স ব্রাউনিকে বিয়ে করেন ২০০৭ সালে। বিয়ের পর জেন তার নাম পরিবর্তন করে মুসলিম নাম জেইনা মোহাম্মেদ গ্রহণ করেন। তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাসের আবেদন করলেও তার আবেদন বাতিল করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :