ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার (২২ মার্চ) মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) এ নিয়ে একটি পোস্ট দেন তিনি।আগামী ১৯ এপ্রিল ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন শুরু হবে। সাত দফার এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হবে ১ জুন। আর নির্বাচনের প্রথম দফার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দিল্লির কেন্দ্রীয় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়।
দিল্লিতে মদের দোকানের লাইসেন্স দেয়ার নীতি বদল করে কেজরিওয়াল এবং কয়েকজন মন্ত্রী ও নেতা মদ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন, এই অভিযোগের তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিটি। এ মামলায় সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেজরিওয়ালের বাসভবনে অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। সেখান থেকেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়।
এক্স পোস্টে মমতা বন্দোপাধ্যায় লেখেন,
জনগণ নির্বাচিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা করছি। আমি সুনীতা কেজরিওয়ালের (অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী) সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেছি এবং পাশে থাকার বার্তা দিয়েছি।
মমতা আরও লেখেন,
বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের বেছে বেছে গ্রেফতার করা হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে জোটে থাকলে ইডি, সিবিআইয়ের তদন্তে অভিযুক্ত ব্যক্তিরাও ছাড় পাচ্ছেন, দুর্নীতি চালিয়ে যেতে পারছেন। এটা মেনে নেয়া যায় না। এটা গণতন্ত্রের উপর নির্মম আঘাত।
তিনি লেখেন,
আমাদের ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরা শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করবেন এবং বিরোধী নেতাদের এভাবে ‘টার্গেট’ করার বিরোধিতা করবেন। কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে ইন্ডিয়া’র প্রতিনিধি দলে তৃণমূলের পক্ষে ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং নাদিমুল হক থাকবেন।
এছাড়া কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের পর মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে রাহুল গান্ধী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন,
ভীত স্বৈরাচার শাসক, মৃত গণতন্ত্র দেখতে চায়। সংবাদমাধ্যমসহ সব প্রতিষ্ঠানকে কব্জা করা, রাজনৈতিক দলগুলোকে ভেঙে দেয়া, করপোরেট সংস্থা থেকে টাকা তোলা, প্রধান বিরোধী দলের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়াও অসুর শক্তির জন্য কম ছিল। তাই এবার নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারও সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইন্ডিয়া জোট এর জবাব দেবে।এদিকে কেজরিওয়াল গ্রেফতারের পর ভারতজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে তার দল আম আদমি পার্টি (এএপি)। আর অনেক বিরোধী দলীয় নেতা তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :