সম্পত্তির মূল্য সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে করা জরিমানার অর্থ কমাতে সম্মত হয়েছেন বিচারক।ট্রাম্পের অনুরোধ আমলে নিয়ে তাকে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলারের বদলে ১৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। খবর বিবিসির।
আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে।
রিপাবলিকান রাজনীতিতে তিনি যথেষ্ট সমর্থন পেলেও নিজের নির্বাচনী প্রচারের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ সংগ্রহ করতে পারছেন না। তার ওপর একাধিক মামলার খাড়া মাথার ওপর ঝুলছে।এর মধ্যে সম্পত্তির মূল্য সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে হওয়া এক মামলায় গত মাসে ট্রাম্পকে প্রায় সাড়ে ৩৫ কোটি ডলার জরিমানা করেন নিউইয়র্কের বিচারক আর্থার এনগোরন।
যা সুদসহ গত এক মাসে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। সোমবারের (২৫ মার্চ) মধ্যে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যকে জরিমানার অর্থ জমা দিতে বলা হয়।তবে ট্রাম্পের আইনজীবীরা প্রায় ৩০টি বিমা ও বন্ড কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেও প্রয়োজনীয় অঙ্কের বন্ড আদায় করতে পারেননি। ট্রাম্পের সম্পত্তি বন্ধক রেখে তারা সেই ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত নন।
ঋণ পেতে ট্রাম্প আগেই কিছু সম্পত্তি বন্ধক রাখার কারণেও সেটা সম্ভব হচ্ছে না বলে বার্তা সংস্থা এএফপির কাছে দাবি করেন সাবেক ফেডারেল কৌঁসুলি অ্যান্ড্রু ওয়াইসম্যান।এমন অবস্থায় জরিমানার অর্থ কমানোর অনুরোধ জানিয়ে আদালতে আবেদন জানান ট্রাম্পের আইনজীবীরা। সোমবার (২৫ মার্চ) সেই অনুরোধের জবাবে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলারের জরিমানা কমিয়ে ১৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার করেছেন বিচারক এনগোরন।
সেই সঙ্গে জরিমানার অর্থ জমা দিতে ট্রাম্পকে আরও ১০ দিন সময় দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে জমা দিতে না দিতে পারলে পুরো অর্থই দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :