এবারই প্রথম নয়, এর আগেও ইরানের ইসফাহানে হামলা চালিয়েছিল ইসরাইল। বরাবরই ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের টার্গেট স্থানটি। এটি ইরানের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান।এখানে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ও সামরিক কারখানা রয়েছে। ২০২৩ সালে শহরটির সামরিক কারখানায় আক্রমণ চালায় ইসরাইল। ওই ঘটনায় মোসাদের চার সদস্যকে আটক করে তেহরান। জায়গাটি এখন আবারও আলোচনায় কেন্দ্রে। ইরান ও ইসরাইল শত্রুতা বহুদিনের। প্রথমবারের মতো সম্মুখ সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে দেশ দুটি। হামলা পাল্টা হামলার ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে ইরানের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল।
ইসফাহান শহরেও হামলা চালানো হয়েছে। যদিও এখনও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে শহরটিতে পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করেই যে ইসরাইলি বাহিনী আক্রমণ চালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগেও ইরানের ইসফাহানে হামলা চালায় তেল আবিব। বারবারই ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের টার্গেট এই গুরুত্বপূর্ণ শহরটি। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ইসফাহানে ইরানের সেনাবাহিনীর একটি সামরিক কারখানায় হামলা চালায় নেতানিয়াহু বাহিনী। তবে সেসব আক্রমণ ব্যর্থ হয়। অবশ্য ওই হামলায় তেল আবিবকে দায়ী করে তেহরান এবং মোসাদের চার সদস্যকে আটক করে।
তেহরানের দক্ষিণে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইসফাহান শহরটিতে ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের বিশাল কমপ্লেক্সও রয়েছে। ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কেন্দ্রস্থল নাতাঞ্জসহ ইসফাহানে বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনা অবস্থিত। এটি ইরানের সর্ববৃহৎ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। এছাড়া এখানে ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের বিশাল কমপ্লেক্সও রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :