ইসরাইল ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ২ শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্সেসের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এই পরিস্থিতিতে ইসরাইলি কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হতে এবং সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন। একইসঙ্গে ইসরাইল স্কুল- বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যাম্প বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এক হাজার জনের বেশি জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
এদিকে ইসরাইলে ইরানের হামলার কারণে নিজ নিজ আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে ইরাক, জর্ডান ও লেবানন। ইরাকি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, দেশের আকাশসীমা অস্থায়ীভাবে বন্ধ থাকবে। কোনো ফ্লাইট উড্ডয়ন বা অবতরণ করতে পারবে না। ট্রানজিটও বন্ধ থাকবে।
জর্ডানের সিভিল অ্যাভিয়েশন রেগুলেটরি অথরিটি দেশের আকাশসীমা সাময়িক বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা পেট্রার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবেশী ইসরাইলে ইরানের হামলার কারণে তারা উচ্চ সতর্কতায় রয়েছেন। স্থানীয় সময় রাত ১১টা থেকে পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা আকাশসীমা বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে দেশটি।
এছাড়া লেবাননের পাবলিক ওয়ার্কস অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রণালয়ও আকাশসীমা সাময়িক বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি একটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন।
সে হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। তাদের সঙ্গে হামলায় যোগ দেয় ইয়েমেনের ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। এরপর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও ইসরাইলে রকেট হামলা চালানো হয়েছে বলে জাননো হয়।
আপনার মতামত লিখুন :