ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত উপসাগরীয় রাজ্যগুলো। এখনো পানিতে ডুবে রয়েছে আরব আমিরাত ও ওমানের অনেক সড়ক। বন্যায় বিশেষ করে বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যস্ততম দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এরইমধ্যে বাতিল হয়েছে ৩ শতাধিক ফ্লাইট৷ বন্যার কারণে দুবাই ও ওমানে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাহরাইন, কাতার ও সৌদি আরবেও প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। খবর ইউএনবি ও বিবিসির।
আরব আমিরাতে মঙ্গল ও বুধবার দুইদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে দেশটির প্রধান মহাসড়কের বড় অংশ প্লাবিত হয়ে পড়েছে। আজ বৃহস্পতিবারও রাজধানী দুবাইয়ের অনেক সড়কে জলাবদ্ধতা ও যানবাহন পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখা গেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,বন্যা ও ঝোড়ো হাওয়ার কারণে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শত শত বিমানের ওঠানামা ব্যাহত হয়েছে। ফ্লাইট অ্যাওয়্যার ডেটা অনুসারে, দুইদিনে অন্তত ৩০০ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকশত ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে।
ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্বিত হওয়ায় বিপাকে পড়েন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বিমানবন্দর হয়ে চলাফেরা করা হাজার হাজার যাত্রী। এয়ারলাইন্সগুলোর অনুমোদন ব্যতিরেকে কোনো যাত্রীকে বিমানবন্দরে আসতে বারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যাত্রী চেক-ইন বন্ধ ঘোষণা করেছে দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স এমিরেটস।
কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছে, আরও বজ্রপাত, ভারী বৃষ্টি ও শক্তিশালী ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, অনেক নিচু এলাকা এখনও পানির নিচে রয়েছে। বিমানবন্দরের পরিস্থিতি উত্তোরণে সময় লাগবে।
এদিকে বৃহস্পতিবারও দেখা গেছে, দুবাইয়ের অনেক সড়কে পানি জমে জলাশয়ের মতো তৈরি হয়েছে। পাম্প করে সড়ক-মহাসড়ক থেকে পানি সরিয়ে নিতে ট্যাংকার ট্রাক পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দুবাইয়ের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় আজ সকালেও গাড়িগুলোকে হেড জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। রাস্তায় পানি জমে থাকার কারণেও গাড়িগুলোর ছিল ধীরগতি। মাঝে মধ্যেই বুর্জ খলিফার উঁচু চূড়া ছুঁয়ে যাচ্ছিল বজ্রপাত।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুবাইয়ের উত্তরে বন্যার পানিতে গাড়ি তলিয়ে গিয়ে এক ব্যক্তি মারা গেছেন।
এদিকে ওমানে তুমুল বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বন্যা ও ঝড়ে ১৯ জনের প্রাণহানির কথা নিশ্চিত করেছে দেশটির জরুরি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক জাতীয় কমিটি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধারকারীরা সাহাম এলাকায় একটি মেয়ের মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছেন। এ নিয়ে গত রবিবার থেকে দেশটিতে ঝড়-বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৯ জনের দাঁড়িয়েছে।
ওমানে নিহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জন স্কুলছাত্র। মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি গাড়ি বন্যায় ভেসে গিয়ে এই মর্মান্তিক প্রাণহানি ঘটেছে। এজন্য শোক ঘোষণা করেছে ওমান সরকার।
আপনার মতামত লিখুন :