বাংলাদেশ শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

গাজায় আবার যুদ্ধের শঙ্কা হামাসকে হুঁশিয়ারি ইসরায়েলের

দৈনিক প্রথম সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম

গাজায় আবার যুদ্ধের শঙ্কা হামাসকে হুঁশিয়ারি ইসরায়েলের

গাজায় আবার যুদ্ধ শুরু হওয়ার শঙ্কা- ইসরায়েল রিজার্ভ সেনা তলব করে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে

ফিলিস্তিনের গাজায় আবার যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইসরায়েল রিজার্ভ সেনা তলব করে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। হামাস যদি আগামী শনিবারের মধ্যে আরও ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি না দেয়, তাহলে নতুন করে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল।

যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি

গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, শনিবারের মধ্যে আরও তিনজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা। তবে ইসরায়েল চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ এনে হামাস জিম্মি মুক্তির প্রক্রিয়া স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে।

এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, শনিবার দুপুরের মধ্যে সব জিম্মি মুক্তি না দিলে গাজায় ‘নরক নেমে আসবে’।

ইসরায়েলের সামরিক প্রস্তুতি

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, যুদ্ধের জন্য সেনাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে গাজা সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং রিজার্ভ সেনাদের তলব করা হয়েছে।

নেতানিয়াহু বলেন, “হামাস যদি চুক্তির শর্ত না মানে, তাহলে আমরা তীব্র লড়াই শুরু করব।”

গাজায় মানবিক সংকট

প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা সংঘাতে গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানকার বেশিরভাগ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, খাদ্য, পানি ও আশ্রয়ের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

গাজায় বিধ্বস্ত হামলা

 

মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টা

যুদ্ধ এড়াতে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা জানান, সংকট সমাধানে মধ্যস্থতাকারীরা সক্রিয় হয়েছেন।

মিসর ও জর্ডানের প্রতিক্রিয়া

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করতে পারেন, যদি গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরানোর পরিকল্পনা আলোচনার এজেন্ডায় থাকে।

এদিকে, জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরানোর পরিকল্পনা ‘দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান’ করেছেন। তিনি বলেছেন, "ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ না করেই গাজার পুনর্গঠন করা হবে।"

বিশ্বের প্রতিক্রিয়া

চীনও গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরানোর পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, “গাজার মালিক ফিলিস্তিনিরা, এটি তাদের অবিচ্ছেদ্য ভূখণ্ড।”

এছাড়া, আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ গেইত একে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে বলেন, "আজ যদি গাজা থেকে সরানো হয়, তাহলে আগামীকাল পশ্চিম তীর থেকে ফিলিস্তিনিদের সরানোর কথা বলা হবে।”

হামাস যদি জিম্মিদের মুক্তি না দেয়, তাহলে গাজায় আবার বড় ধরনের যুদ্ধ শুরু হতে পারে। তবে কূটনৈতিকভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট হতে পারে।

Link copied!

সর্বশেষ :