ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত প্রস্তাব: গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের মিসর ও জর্ডানে স্থানান্তর
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের মিসর ও জর্ডানে স্থানান্তরের একটি বিতর্কিত প্রস্তাব আবারও সামনে এনেছেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল-সিসি এবং জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ এই পরিকল্পনায় সম্মত হবেন। তবে ইতোমধ্যে মিসর, জর্ডানসহ বেশ কয়েকটি আরব দেশ এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এই তথ্য জানিয়েছে।
ট্রাম্পের বক্তব্য
গত শনিবার এক বক্তব্যে ট্রাম্প গাজা উপত্যকায় শুদ্ধি অভিযান চালানোর প্রস্তাব দেন এবং ফিলিস্তিনিদের মিসর ও জর্ডানে স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “গাজা উপত্যকা বহু বছর ধরে সহিংসতার কেন্দ্রস্থল, এবং সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা কঠিন।”
তিনি আরও বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের এমন একটি স্থানে স্থানান্তর করা উচিত, যেখানে তারা নিরাপদে ও ভালোভাবে বসবাস করতে পারবে।
মিসর ও জর্ডানের কঠোর প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে মিসর ও জর্ডান শক্ত অবস্থান নিয়েছে।
মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তর এই অঞ্চলে সংঘাত আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।”
জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইমান সাফাদি জানান, “আমরা এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়েছি।”
আলবেনিয়ার অবস্থান
এদিকে, আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডি রামা গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের প্রস্তাব নাকচ করেছেন। তিনি টুইটারে জানান, “আলবেনিয়াকে এমন কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি এবং আমরা এমন দায়িত্ব নিতে পারব না।”
নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনার ইঙ্গিত
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি শিগগিরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করবেন। তবে নেতানিয়াহুর স্বাস্থ্য পরিস্থিতির কারণে সফরটি এখনও নিশ্চিত হয়নি।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ
এই প্রস্তাব নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ট্রাম্পের প্রস্তাবকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তর স্থায়ী বাস্তুচ্যুতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই প্রস্তাব মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে নতুন বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :