ইন্দোনেশিয়ায় একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির কিনারে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সময় এক পর্যটক ২৫০ ফুট নিচে পড়ে গিয়ে নিহত হয়েছেন। নিহত ওই নারীর নাম হুয়াং লিহং। তিনি একজন চীনা নাগরিক। স্বামী ঝাং ইয়ংয়ের সঙ্গে নীল আগুনের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ওই আগ্নেয়গিরি থেকে সূর্যোদয় দেখার ইচ্ছা ছিল তার।
শনিবার (২০ এপ্রিল) আইজেন নামে পূর্ব জাভার একটি আগ্নেয়গিরি পর্যটক পার্কে বেড়াতে গিয়েছিলেন ৩১ বছর বয়সী হুয়াং লিহং। সেখানেই মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (২৩ এপ্রিল) সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আইজেন তার নীল আগুনের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত, যা আসলে সালফিউরিক গ্যাসের দহন থেকে নির্গত নীল আলো।
এর গহ্বরটি কাওয়াহ ইজেন নামে পরিচিত, যার অর্থ একাকী গহ্বর। পর্যটক এবং খনি শ্রমিকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় একটি সাইট এটি। সূর্যোদয় দেখার জন্য ওই দম্পতি আগ্নেয়গিরির একেবারে কিনারে চলে গিয়েছিলেন। যে ট্যুরিজম কম্পানির মাধ্যমে তারা সেখানে গিয়েছিলেন, সেই কম্পানি ট্যুর গাইড বলেছেন, ছবি তোলার জন্য লিহং বারবার গর্তের কিনারে চলে যাচ্ছিলেন।এ সময় বেশ কয়েকবার তাকে সতর্ক করা হলেও শুনছিলেন না তিনি। পরে ফিরে আসার সময় নিজের পোশাকের সঙ্গে পা জড়িয়ে প্রায় ২৫০ ফুট নিচে পড়ে যান তিনি।
স্থানীয় মিডিয়ায় প্রচারিত একটি ছবিতে দেখা যায়, লিহং তার পা উঁচু করে পোজ দিচ্ছেন এবং মারাত্মক এই দুর্ঘটনা ঘটার আগে তার পেছনে সালফার গ্যাসের মেঘ দেখা যাচ্ছিল। কর্তৃপক্ষ জানায়, তার মৃতদেহ উদ্ধার করতে উদ্ধারকারীদের প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চীনে ফেরত পাঠানোর আগে তার মরদেহ বালিতে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
প্রসাধনী থেকে দিয়াশলাই পর্যন্ত অনেক শিল্পেই এ এলাকার শক্ত হলুদ সালফার ব্যবহৃত হয়। আগ্নেয়গিরিটি থেকে নিয়মিত বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হলেও, তা সীমিত আকারের হওয়ায় সাইটটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রেখেছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। ইন্দোনেশিয়ায় অন্তত ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। লাখ লাখ ইন্দোনেশিয়ান এসব আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি বাস করে এবং কৃষিকাজ করে জীবন ধারণ করেন, মূলত উর্বর চাষের মাটির কারণে
সূত্র : নিউ ইয়র্ক পোস্ট
আপনার মতামত লিখুন :