ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদযাপন করা হয়েছে। রোববার (১৭ মার্চ) দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রবাসী শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
দিবসের শুরুতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। অনুষ্ঠানে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
পরে আলোচনা সভায় বক্তারা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম,পরবর্তীকালে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের নেতৃত্ব এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী দেশ পুনর্গঠন ও জাতির সেবায় অবদান সম্পর্কে আলোচনা করেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বীর শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের বর্ণনা দেন।
তিনি বলেন, ‘শোষিত, বঞ্চিত ও নিপীড়িত মানুষের পক্ষে কৈশোর থেকেই বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন ও সংগ্রাম তাকে পরবর্তীতে বাঙালি জাতি বিনির্মাণের এক আপোষহীন, দৃঢ়চেতা ও অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত করে। বঙ্গবন্ধুর সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব ও ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্ব সমগ্র জাতিকে একসূত্রে গেঁথেছিল, যার ফলে বাঙালি জাতি পেয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।’
আসাদ আলম সিয়াম আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃপ্ত পদক্ষেপে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’ এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোরদের শিক্ষাদানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম ও তার স্ত্রী মিজ ফারহানা সাইফ দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু-কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সব শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের অব্যাহত শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :