সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার জেরে সমুদ্রপথে পণ্য আমদানির খরচ বেড়েছে। তা সত্ত্বেও রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি, অত্যাবশ্যক পণ্যগুলোতে মূল্যছাড়ও দিচ্ছেন তারা।গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এ কারণে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত এই শিপিং রুট পরিহার করে আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে যাতায়াত করছে অনেক জাহাজ। এর ফলে পরিবহন খরচ বেড়েছে।
এরপরও, রোজাদারদের যেন দুর্ভোগ না হয়, সেই কারণে পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম স্থির রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমিরাতের ব্যবসায়ীরা।লুলু গ্রুপের রিটেইল অপারেশন ডিরেক্টর শাবু আব্দুল মজিদ বলেছেন, “আমরা আমাদের সব সরবরাহকারীকে দাম না বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছি এবং দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য কাজ করছি। আমরা পুরো রমজান মাসজুড়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম স্থির রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং খাদ্য ও অন্যান্য মুদিপণ্যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছি।”মূল্যছাড় দিচ্ছে সুপারমার্কেট চেইন চোইথরামও। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী রাজীব ওয়ারিয়ার বলেন, “রমজান এবং আমাদের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিজেদের সব স্টোরে নতুন ধরনের প্রচারণা শুরু করেছি। আমরা আশা করছি, দাম স্বল্প মেয়াদে হলেও স্থিতিশীল থাকবে। যদি সুদের হার কমে যায়, তাহলে সেটি আমাদের মালামাল পরিবহন ও অন্যান্য কারণে বাড়তি খরচ প্রশমনে সাহায্য করবে।”
রমজানে জিনিসপত্রের দাম না বাড়ানোর কথা জানিয়েছে স্থানীয় সুপারমার্কেট চেইন স্পিনিস। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী সুনীল কুমার বলেছেন, “বর্তমান আঞ্চলিক পরিস্থিতির কারণে আমাদের কোনো মূল্য সমন্বয় করতে হয়নি।”
সুনীল কুমার বলেন, “শিপিং খরচ সামান্য বেড়েছে। তবে অতীতে, যেমন- করোনাভাইরাস মহামারির সময় যা দেখেছি, এটি তার ধারেকাছেও নেই। আমরা বিকল্প পরিবহন পদ্ধতি ব্যবহার করে আমাদের সরবরাহ ব্যবস্থার খরচ বৃদ্ধি প্রশমিত করছি।”
আপনার মতামত লিখুন :