সাগরপথে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে ডিঙ্গি নৌকা আরোহী ৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে ভূমধ্যসাগরে। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরও ২৫ জনকে। বৃহস্পতিবার মানবিক উদ্ধার গ্রুপ এসওএস মেডিটেরিয়ানের জাহাজ ওশান ভাইকিং তাদের উদ্ধার করেছে। খবর বিবিসির।
ভূমধ্যসাগরে রাবারের ডিঙ্গি নৌকায় মারা গেছে ৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশী
এসওএস মেডিটেরিয়ান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লিবিয়ার জাবিয়া উপকূল থেকে গত শুক্রবার রাবারের ডিঙ্গি নৌকাটি আরোহীদের নিয়ে সাগরে রওনা হয়। তিনদিনের মাথায় ডিঙ্গির ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়।
ওশান ভাইকিংয়ে উদ্ধারকারীরা জানান, ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ায় ডিঙি নৌকাটি আরোহীদের নিয়ে সাগরেই ভাসতে থাকে। খাবার ও পানিবিহীন অবস্থায় একের পর এক অসুস্থ হয় অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।
ডিঙ্গিটি গত বুধবার বাইনোকুলারের সাহায্যে শনাক্ত করা হয়। পরে ইতালির কোস্টগার্ডের সহায়তায় উদ্ধার অভিযান চালানো হয়।
উদ্ধারকারীরা জানান, বিভিন্ন বয়সী পুরুষদের সঙ্গে কয়েকজন নারী এবং একটি শিশু ছিল। সাগরে রাবারের ডিঙ্গি উল্টে কারো মৃত্যু হয়নি। সবাই খাবারের অভাবে মারা গেছে।
এসওএস মেডিটেরিয়ানের মুখপাত্র বলেন, জীবিত উদ্ধার হওয়াদের অবস্থা খুবই গুরুতর। তাদের ২৩ জনকে জাহাজেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মুমূর্ষু অবস্থায় দুজনকে হেলিকপ্টারে সিসিলি দ্বীপে পাঠানো হয়েছে।
মুখপাত্র আরও জানান, হতাহতদের বেশির ভাগই সেনেগালের নাগরিক। তারা জানিয়েছে, ইতালির আনকোনা বন্দরে যাওয়ার উদ্দেশ্যেই তারা নৌকায় চেপে বসেছিল। তারা ওই বন্দর থেকে চারদিনের দুরত্বে সাগরে ভাসছিলেন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থঅ (আইওএম) জানিয়েছে, ২০২৩ সালে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে সাগরপথে অন্তত ৮ হাজার ৫৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সাগরপথে পাড়ি দেওয়ার রুটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর ভূমধ্যসাগর। গত বছর শুধু ভূমধ্যসাগরেই নিখোঁজ বা প্রাণ হারিয়েছে ৩ হাজার ১২৯ যাত্রী।
জাতিসংঘ সংস্থাটি জানায়, ২০২৩ সালে সাগরপথে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যু আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :