জাতিসংঘের মতে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ৪৫,০০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তে পালিয়েছে।শুক্রবার (২৪ মে) জেনেভায় জাতিসংঘের সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মুখপাত্র এলিজাবেথ থ্রোসেল এ কথা বলেন।তিনি বলেন, অনেক রোহিঙ্গা হত্যার শিকার হয়েছেন। অনেকের বাড়িঘর, সম্পদ আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তারা ১৭ মে থেকে পালাতে শুরু করেন। সম্প্রতি বুথিডং ও মৌডং শহরে আরাকান আর্মি (এএ) ও সেনাবাহিনীর লড়াইয়ে ১০ হাজার নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
মংধুতে লড়াই অব্যাহত রয়েছে, এলিজাবেথ থ্রোসেল সতর্ক করে বলেছেন, রাখাইনে সহিংসতার মাত্রা আরও বৃদ্ধির গুরুতর এবং স্পষ্ট ঝুঁকিতে রয়েছে। সেখানে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি পোস্ট রয়েছে। এই এলাকাটি একটি বিশাল রোহিঙ্গা জনসংখ্যার আবাসস্থল।তিনি বলেন, এমন আতঙ্কজনক পরিস্থিতিতে বেসামরিক নাগরিকরা আরও একবার হত্যা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটের শিকার হচ্ছেন। তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। তারা আবারও বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন।
এলিজাবেথ ট্রসেল বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে। আগের সহিংসতার সময় তারা বাড়িঘর ছেড়ে দেশে আশ্রয় চেয়েছিল।তিনি জানান, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ফলকার টুর্ক বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোকে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ‘যারা সুরক্ষা খুঁজছেন, তাদের তা দেয়ার’ অনুরোধ করেছেন। একই সঙ্গে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সংহতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :