কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়া। নাফনদী সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকার বাইরে অবস্থিত গ্রামটিতে অনেকটা নদীর কুলের সঙ্গে জোয়ার-ভাটা মিশে যায়। সেই গ্রামের দুই সন্তানের জননী মুবিনা খাতুন। যার স্বামী আলী আকবর নাফ নদী আর সাগরে মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত দুই বছর ধরে আলী আকবর মিয়ানমারের কারাগারে বন্দি। ফলে দুই সন্তান নিয়ে এখন ভিক্ষা করে মুবিনার।
সম্প্রতি শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়ায় জরাজীর্ণ বাড়িতেই বসে সময় সংবাদের সঙ্গে কথা হয় মুবিনা খাতুনের।
তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী প্রায় ২ বছর ১ মাস মিয়ানমারের কারাগারে বন্দি। তাই এখন দুই সন্তান নিয়ে সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। বাজারে, স্টেশনে গিয়ে ভিক্ষা করি। ভিক্ষা করার টাকা দিয়ে কোনো রকম অনাহারে-অর্ধাহারে বেঁচে আছি। শুধু অপেক্ষায় আছি, কখন স্বামী মিয়ানমারের কারাগার থেকে দেশে ফিরে আসবে।’
কিন্তু তার স্বামী আলী আকবর কখন ফিরতে পারবেন, সেটাই তিনি জানেন না।
শুধু মুবিনা খাতুনই নন, টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়া এলাকাটিই একটি জেলে পল্লী। যে পল্লীর ১৪ জেলেই এখন মিয়ানমারের কারাগারে। যাদের পরিবার রয়েছে চরম উৎকণ্ঠায়। কারও স্বামী বা কারও সন্তান দীর্ঘ ২ বছরের বেশি সময় ধরে বন্দি মিয়ানমারের কারাগারে।
আপনার মতামত লিখুন :