মৌসুমের শুরু থেকেই অনিয়ন্ত্রিত আলুর বাজার। সরকার নির্ধারিত দাম ২৯ টাকা হলেও বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম অর্ধ শতাব্দীতেও পরিবর্তন হয়নি। এর পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে বলে ভোক্তাদের অভিযোগ। শনিবার (১৩ এপ্রিল) রংপুর সিটি মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়।
মৌসুমের শুরু থেকে এবার আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের অস্থিরতা যেন থামছেই না। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও, ঈদের ছুটিতে প্রতিকেজি আলু ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশিতে বিক্রি করা হচ্ছে। আলুর বাজারের এই অস্থিরতায় সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভোক্তারা।
উৎপাদনে শীর্ষ জেলা মুন্সীগঞ্জেও আলুর দাম চড়া। কৃষি বিভাগ প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন ব্যয় ১৮ টাকা বললেও, কৃষকের দাবি ২০- ২৫ টাকা। পাশাপাশি সরকার আলুর দর কেজিপ্রতি ২৯ টাকা নির্ধারণ করলেও তা মানছেন না কোন ব্যবসায়ী।ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে সরবরাহ না থাকায়, বেড়েছে আলুর দাম। আর ক্রেতারা বলছেন, পর্যাপ্ত আলু থাকলেও মজুতদাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অস্থিতিশীল করছেন বাজার। দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবিও করেন তারা।
রংপুর সিটি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন,
আলুর দাম প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা বেড়েছে। ক্রেতারা দাম শুনেই তেলে-বেগুণে জ্বলে উঠছেন। কিন্তু এইখানে আমাদের কি করার আছে?আলুর কেজি সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার রংপুর সিটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারিতে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৫ টাকায় আর খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এছাড়া কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি শিল বিলাতি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, ঝাউ আলু ৬০ টাকা ও ডায়মন্ড আলু ৬০ টাকা। এছাড়া বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী লাল গোল আলু পাইকারিতে প্রতিকেজি ৫৬ টাকা ও খুচরায় ৬০ টাকায় দরে বিক্রি হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :