গত শুক্রবার সারা দেশে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশি মেগাস্টার শাকিব খান অভিনীত বহুল প্রতীক্ষিত প্যান-ইন্ডিয়ান সিনেমা “দরদ”। ছবিটি পরিচালনা করেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা অনন্য মামুন। কিন্তু মুক্তির পর থেকেই সিনেমাটি দর্শকসংকটের মুখে পড়েছে। এরই মধ্যে পাইরেসির শিকার হয়ে এটি আরও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে।
পাইরেসির ঘটনা
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) থেকে সিনেমাটি অবৈধভাবে ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বেশ কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেলে সিনেমাটির পাইরেটেড সংস্করণ দেখা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি কোনো প্রেক্ষাগৃহ থেকে গোপনে মোবাইল বা ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে পাইরেসির এই ঘটনার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নির্মাতা অনন্য মামুনের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে পাইরেসির ফলে সিনেমাটি আরও বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে।
টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে লিংক
শুধু ইউটিউবেই নয় টেলিগ্রামেও সিনেমাটির পাইরেটেড সংস্করণ পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে দর্শকদের অনেকেই প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমাটি দেখার পরিবর্তে বিনামূল্যে ডাউনলোড করে দেখছেন, যা এর বক্স অফিস সাফল্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
শাকিব খানের জনপ্রিয়তা এবং ‘দরদ’-এর চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশি সিনেমার সবচেয়ে সফল নায়ক হিসেবে শাকিব খান ইন্ডাস্ট্রিতে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছেন। তবে তার বাণিজ্যিক সাফল্য বেশিরভাগ সময়েই ঈদকেন্দ্রিক। ঈদের সময় দর্শকের ঢল নামায় নির্মাতা ও প্রযোজকরা সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করেন। এই কারণেই সমালোচকরা মনে করেন, ঈদের সময় শাকিব খান অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
তবে ঈদের বাইরে শাকিব খানের সিনেমাগুলোর সাফল্য বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ। “দরদ” সেই পরীক্ষার সম্মুখীন। সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই দর্শক টানতে হিমশিম খাচ্ছে। পাইরেসির ফলে বক্স অফিসে এর পারফরম্যান্স আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
“দরদ” সিনেমার তারকা বহর
শাকিব খানের বিপরীতে এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোনাল চৌহান। এছাড়া বলিউডের রাহুল দেব, টলিউডের পায়েল সরকার, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, রাজেশ শর্মা, অলোক জৈন প্রমুখ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সিনেমার তারকা বহর এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটের কারণে এটি প্যান-ইন্ডিয়ান সিনেমা হিসেবে মুক্তি পেয়েছে।
পাইরেসি রোধে করণীয়
পাইরেসির কবল থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। ইউটিউব ও টেলিগ্রাম থেকে অবৈধ কন্টেন্ট সরানোর পাশাপাশি যারা এই কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন চলচ্চিত্রপ্রেমীরা।
সিনেমাটির পাইরেসির কারণে ভবিষ্যতে এমন উদ্যোগে প্রযোজক ও নির্মাতারা নিরুৎসাহিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
আপনার মতামত লিখুন :