বাংলাদেশ বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই

দৈনিক প্রথম সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৪, ০৮:১৭ পিএম

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই

অভিনেতা মাসুদ আলী খান। ছবি: সংগৃহীত

বিনোদন জগতে শোকের ছায়া। একুশে পদকপ্রাপ্ত কিংবদন্তি অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই। ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ঢাকার গ্রিন রোডের নিজ বাসায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন এই বরেণ্য অভিনেতা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুপুরে তার স্ত্রী তাকে খাবার পরিবেশন করার সময়ও তিনি ভালোই ছিলেন কিন্তু বিকেলে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেলে দ্রুত চিকিৎসক ডাকা হয়। তারা এসে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

দাফনের স্থান ও সময়

মাসুদ আলী খানের দাফন শুক্রবার জোহর নামাজের পর তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের খান বানিয়াপাড়া গ্রামে সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।

মাসুদ আলী খান এর কর্মজীবন

কিংবদন্তি অভিনেতা মাসুদ আলী খান তার ক্যারিয়ার শুরু করেন মঞ্চ নাটক দিয়ে। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হলে নূরুল মোমেনের নাটক ‘ভাই ভাই সবাই’-এর মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। এরপর সাদেক খানের চলচ্চিত্র ‘নদী ও নারী’ দিয়ে বড় পর্দায় পথচলা শুরু করেন। তার দীর্ঘ অভিনয় জীবনে তিনি মঞ্চ, টেলিভিশন, রেডিও এবং চলচ্চিত্রের বিভিন্ন অঙ্গনে বহু জনপ্রিয় চরিত্রে অভিনয় করেন এবং সর্বত্র সুনাম কুড়ান।

বিটিভির জনপ্রিয় নাটক ‘কূল নাই কিনার নাই’-এ অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন। তার অন্যান্য জনপ্রিয় নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘একান্নবর্তী’, ‍‍`৬৯‍‍` ও ‍‍`পৌষ ফাগুনের মেলা‍‍`। চলচ্চিত্রেও তার অসাধারণ অবদান রয়েছে। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘দুই দুয়ারি’, ‘দীপু নাম্বার টু’, ‘মাটির ময়না’ এবং ‘মোল্লা বাড়ির বউ’।

মাসুদ আলী খান এর ব্যক্তিগত জীবন

১৯২৯ সালের ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মাসুদ আলী খান। তার পিতা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। শিক্ষাজীবন তিনি উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। এরপর ১৯৫৫ সালে তিনি তাহমিনা খানকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। চাকরি জীবনে মাসুদ আলী খান সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সচিব পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

মাসুদ আলী খান এর শেষ দিনগুলো

দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন মাসুদ আলী খান। বয়সের ভারে তিনি চলাফেরা করতে পারতেন না বলে হুইলচেয়ারে চলাচল করতে হতো। মিডিয়া থেকেও দূরে ছিলেন বেশ কিছু কাল। তার মৃত্যুতে বাংলা নাটক ও চলচ্চিত্র অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

Link copied!

সর্বশেষ :