সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির ছেলের অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক্-বিয়ের অনুষ্ঠান। বিশাল আয়োজনে সেজেছিল ভারতের গুজরাট রাজ্যের জামনগর। ১ মার্চ থেকে শুরু হয় এই আয়োজন। টানা তিন দিনের এই আয়োজনে হাজির হোন বিশ্বের অন্য ধনীরাও। আর বলিউড, হলিউড তারকারা তো রয়েছেনই। তবে মেটা সিইও মার্ক জুকারবার্গ, মরগান স্ট্যানলি সিইও টেড পিক, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, ডিজনির সিইও বব ইগার, ব্ল্যাকরকের সিইও ল্যারি ফিঙ্ক, অ্যাডনক সিইও সুলতান আহমেদ আল জাবের, ইএল রথসচাইল্ডের চেয়ারম্যান লিন ফরেস্টার ডি রথসচাইল্ড, রিয়ানার উপস্থিতি ছিল বিশেষ আকর্ষণ। প্রায় বেশ কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে ছিল এই প্রাক-বিয়ের আয়োজন।বিয়ের খাবারের আয়োজনেও ছিল বিশেষ চমক। পুরো অনুষ্ঠানেই ছিল রাজকীয় খাবারের মেনু। খাবারের মেনু কার্ড দেখে অতিথিরাও চমকে গেছেন। অতিথিদের জন্য ৪ বেলা ভুরিভোজের আয়োজন করা হয়। যেখানে রাখা হয় থাই, জাপানিজ, মেক্সিকান, পার্সি এবং প্যান এশিয়ানের ঐতিয্যবাহী সুস্বাদু সব খাবার।
ভারতী সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা যায়, সকালের খাবার থেকে শুরু করে দুপুরের লাঞ্চ, বিকেলের নাস্তা থেকে শুরু করে রাতের ডিনার সবকিছুতেই রাজকীয় ভোজনের আয়োজন ছিল। রাজকীয় খাবারে ভরপুর ছিল মেনু কার্ড। শুধু সকালের খাবারেই রাখা হয় ৭৫ রকমের ডিশ। এতে ২৭৫ রকমের পদের খাবার পেয়েছেন অতিথিরা। সারারাতব্যাপী অনুষ্ঠান হয়। তাই মিডনাইটের খাবার মিলে ছিল ৮৫ রকমের পদ।
ইন্দোরের স্পেশাল সারাফা ফুড কাউন্টার ছিল। সেখানে ইন্দোরি কচুরি, পোহা জিলিপি, ভুট্টে কি কিস, খোপরা প্যাটিস, ইনদওরের চিঁড়ের পোলাও, জিলিপি, নানা ধরনের চাট, কুলফি, উপমার মতো একাধিক পদের খাবারের আয়োজন ছিল। এক রান্না একবারই করা হয়। যা আর দ্বিতীয়বার করা হতো না। অর্থাৎ লাঞ্চ কিংবা ডিনারের মেনু ছিল সম্পূর্ণ আলাদা।রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ছিল ৪টি ট্রাকে। আর ৬৫ জন রাঁধুনী সর্বক্ষণ রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। যার মধ্যে ২০ জন নারী রাঁধুনী ছিলেন।তিন দিনব্যাপী এই প্রাক বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রতিদিন আলাদা নাম দেওয়া হয়। প্রথম দিনের অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘ইভিনিং ইন এভারল্যান্ড’। এদিনের ড্রেসকোড ছিল ‘এলিগ্যান্ট ককটেল’। দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানের থিম ছিল ‘জঙ্গল ফিভার’। শেষ দিনে দুটো ইভেন্ট রাখা হয়। প্রথমটির থিম ‘টাস্কার ট্রেইলস’ এবং ড্রেস কোড ‘ক্যাজুয়াল চিক’। শেষ দিনের দ্বিতীয় ইভেন্টের নাম ‘হস্তাক্ষর’। এই ইভেন্টে ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পোশাকে সেজে উঠেছিলেন সবাই।
আপনার মতামত লিখুন :