ঈমানী দর্শন ও সৃষ্টিকর্তা-বিমুখ জাতি তৈরি : ঈমানী দর্শনে উজ্জীবিত আদর্শবাদী প্রজন্ম ও জাতি ইসলামবিদ্বেষী সেক্যুলারদের জন্য ভীতির কারণ। তাই আল্লাহ, আল্লাহর একত্ববাদ, রিসালাত, হিদায়াত, পরকাল, আল্লাহর নিকট জবাবদিহি, জান্নাত, জাহান্নাম ইত্যাদি ঈমানি দর্শনের ধারণা বিবর্জিত শিক্ষাব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছে জাতির ঘাড়ে। এ শিক্ষাব্যবস্থা পরকালবিমুখ দুনিয়াপূজারি মানুষ তৈরি করে। মানুষের প্রকৃত কল্যাণ-অকল্যাণ, জীবনের আসল ব্যর্থতা ও সার্থকতা জানানোর ব্যবস্থা এখানে নেই।
মানসিক দাস ও সেবক তৈরি : এ শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা হয়েছে সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের মানসিক দাস আর অনুগত সেবক তৈরি করার জন্য। এ শিক্ষাব্যবস্থা থেকে স্বাধীন দেশ ও জাতিকে পরিচালনা করার যোগ্য নেতৃত্ব ও দক্ষ জনশক্তি তৈরি হবার আশা করা যায় না। নিজ দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য আত্মত্যাগী শিক্ষিত মানুষ এখান থেকে বের হওয়ার আশা করা যায় না। তাই দেখা যায়, জাতির মেধাবী লোকেরা স্বদেশ থেকে বিদেশেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
নামে মাত্র ধর্মীয় শিক্ষা : শিক্ষাব্যবস্থার সেক্যুলার ভাবধারার সাথে নামে মাত্র ধর্ম শিক্ষা রাখা হয়েছে। ইসলাম ধর্ম শিক্ষাকে নিচের শ্রেণীগুলোতে অনেকটা পরগাছার মতো রাখা হয়েছে। ছাত্রদের অন্য সব জ্ঞান বিজ্ঞান এমনভাবে শিক্ষা দেয়া হয়, যার ফলে গোটা বিশ্বজগৎ আল্লাহ ছাড়াই সৃষ্টি হয়েছে এবং সফলভাবে পরিচালিত বলে তারা অনুভব করে। আল্লাহ, রাসূল ও পরকালের প্রয়োজনীয়তাই তারা অনুভব করে না। ছাত্রদের গোটা চিন্তাধারাই এ দৃষ্টিভঙ্গিতে গড়ে তোলা হয়। অতঃপর ধর্ম ক্লাসে শিক্ষক আল্লাহ, রাসূল, কিতাব ও পরকাল আছে বলে শিক্ষা দেন। এভাবেই প্রবল আল্লাহবিমুখ দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলে তার উপর আল্লাহমুখী হালকা ধারণা পেশ করে ছাত্রদের মধ্যে মানসিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে দেয়া হয়।
উপরের শ্রেণীগুলোতে ইসলামিয়াত ও ইসলামের ইতিহাস ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে রাখা হয়। ইসলামের ইতিহাস নামে এমন ইতিহাস ছাত্রদের পড়ানো হয়, যাতে ইসলামকে বিকৃত এবং ইসলামের ইতিহাসকে স্বার্থপরতা ও যুদ্ধবিগ্রহের ইতিহাস হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। ফলে অনেকেই পুরোপুরি ইসলামবিদ্বেষী হয়ে বের হয়।
ভুলে ভরা নিন্মমানের পাঠ্যবই : প্রতি বছর পাঠ্যপুস্তকের ভুল, চুরি, গুগল ট্রান্সলেটরের ব্যবহার হামেশাই চোখে পড়ার পরও তা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলে। এসব মানহীন পাঠ্যপুস্তক তৈরির উদ্দেশ্যই হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে একটি মেরুদণ্ডহীন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়া যারা অন্যায় ও জুলুম দেখে মুখ গুঁজে থাকবে।
নতুন কারিকুলামে সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের একটি অধ্যায় নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এর পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন অনেকে। বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক একটি অনুষ্ঠানে এ নিয়ে বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ফেলার পর। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বলছে, এটি কেবল মানুষের লিঙ্গ বিচিত্রতা বোঝাতে যুক্ত করা হয়েছে।
যাতে করে ছেলেমেয়েরা বিষয়গুলো বুঝে তাদের সহপাঠীর প্রতি সহনশীল হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছে, যেকোনো কিছু পাঠ্যবইয়ে যুক্ত করার আগে আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাসকে আমলে নিয়ে সচেতনতার সঙ্গে যুক্ত করা উচিত। তা না হলে এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে শরীফার গল্পের উপস্থাপনা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন।
মানুষ জন্মগতভাবে যে লিঙ্গ নিয়ে জন্মায় সেই লৈঙ্গিক পরিচয়ে যখন শনাক্ত হয় তখন তাকে সিস-জেন্ডার বলে। অন্যদিকে, একজন ব্যক্তি যে লিঙ্গ নিয়ে জন্মায় পরবর্তীতে যদি তার বিপরীত লৈঙ্গিক পরিচয়ে শনাক্ত হয় তবে তাকে ট্রান্সজেন্ডার বলে। এক্ষেত্রে নারী থেকে কেউ পুরুষে রূপান্তরিত হলে তাকে ট্রান্সম্যান আবার পুরুষ থেকে কেউ নারীতে রূপান্তরিত হলে তাকে ট্রান্সউইম্যান বলা হয়। এই জেন্ডার ট্রান্সফরমেশনের বিষয়টি প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম দুভাবেই হতে পারে।
‘শরীফার গল্প’তে শরীফা জন্মগতভাবে পুরুষ হলেও সে নিজেকে নারী বলে দাবি করে, অন্যদিকে শরীফার পরিচিত ব্যক্তি শারীরিক দিক দিয়ে নারী হলেও মানসিকভাবে নিজেকে পুরুষ বলে দাবি করে। যা সামাজিক ও ধর্মীয় নীতিবোধের বিরোধী।
এনজিওর স্বার্থান্বেষী কার্যক্রমের প্রভাব
শুরু থেকেই বাংলাদেশে এলজিবিটিকিউ আন্দোলন আমদানি করা হয়েছিল বিদেশী এনজিও, বিশেষ করে পশ্চিমা শক্তিগুলোর মদদে। সাথে ছিল ভারতীয় কানেকশন। বাংলাদেশী বিভিন্ন এনজিও ও সমকামী গ্রুপ (ব্র্যাক, বন্ধু, বয়েজ অফ বাংলাদেশ) ফান্ডিং পায় ইউএসএইড, ইন্টারন্যাশনাল উইমেন্স হেলথ কোয়ালিশন (যুক্তরাষ্ট্রের এই এনজিওটি জাতিসঙ্ঘের পপুলেশন ফান্ড ইউএনএফপিএ) এবং বিশ্বব্যাংকের সাথে কাজ করে দীর্ঘদিন ধরে, এ প্রতিষ্ঠানের গভীর সম্পর্ক আছে অ্যামেরিকার রকাফেলার এবং ফোর্ড ফাউন্ডেশনের সাথে), নেদারল্যান্ডসের দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ বা ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ (ডিএফআইডি) থেকে। সমকামিতাসহ অন্যান্য বিকৃত যৌনতা নিয়ে (তাদের ভাষায় ‘যৌন বৈচিত্র্য’ নিয়ে) সমাজে আলাপ তোলার জন্য ২০০৭ থেকে ব্র্যাক বিভিন্ন মিটিং, ওয়ার্কশপ এবং মতবিনিময় সভার আয়োজন করতে শুরু করে। বিষয়টাকে তারা উপস্থাপন করে মানবাধিকারের কাঠামোতে ফেলে। সমকামিতার সামাজিকীকরণের প্রচেষ্টাকে বলা হয় ‘যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার’ (যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার - এসআরএইচআর) নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা।
২০০৭ সালের কনফারেন্সের আলোচনার নির্যাস বুকলেট আকারে ছাপিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয় সারা বাংলাদেশের ১৫০ জন ‘স্টেকহোল্ডারের’ কাছে। যৌন অধিকার নিয়ে কোন ধরনের গবেষণাকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনার জন্য ২০০৮ সালে অ্যাকাডেমিক, এলজিবিটি সমর্থক এবং বিভিন্ন স্থানীয় সংস্থার সদস্যদের নিয়ে একটি মিটিং করে ব্র্যাকের গবেষকরা। এরই ধারাবাহিকতায় এলজিবিটি ইস্যু নিয়ে আরো গোছানো এবং সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য ২০০৮ সালে ব্র্যাকের জেইমস পি গ্র্যান্ট পাবলিক হেলথ স্কুল আলাদা একটি সেন্টার বা কেন্দ্র তৈরি করে, যার নাম লিঙ্গ, যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকারের জন্য শ্রেষ্ঠত্ব কেন্দ্র। এই কেন্দ্র তৈরির ফান্ডিং আসে জাতিসঙ্ঘের একটি সংস্থার কাছ থেকে।
ব্র্যাকের কার্যক্রম এবং নেটওয়ার্কিংয়ের প্রভাব ছড়িয়ে যেতে থাকে সাড়া বাংলাদেশ জুড়ে। ২০০৭ এর কনফারেন্স এবং ২০০৯ এর কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে ঢাকার বাইরের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমকামিতা ও অন্যান্য বিকৃত যৌনাচারের অধিকার নিয়ে সংক্ষিপ্ত কোর্স বা মডিউল চালু করার প্রতিশ্রুতি দেন তারা। আগ্রহ দেখান নিজ নিজ অঞ্চলে যৌন বিকৃতির অধিকার নিয়ে আলাদা কনফারেন্স আয়োজনেও। অ্যাকাডেমিকদের মাধ্যমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের, বিশেষ করে ঢাকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কিছু শিক্ষার্থী এলজিবিটি সামাজিকীকরণ সংক্রান্ত কার্যক্রমের এই নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়ে পড়ে। ব্র্যাকের উদ্যোগ বাংলাদেশের এলজিবিটি আন্দোলনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। এর আগে সমকামী তথা এলজিবিটি আন্দোলনের কার্যক্রম চলছিল ‘এইডস প্রতিরোধ` আর ‘সচেতনতা’ সংক্রান্ত কার্যক্রমের আড়ালে। কাজ হচ্ছিল যৌন স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যসেবার ব্যানারে। ব্র্যাক এসে কাজ শুরু করে মানবাধিকারের কাঠামোকে সামনে রেখে। সরাসরি সমকামী শব্দটা ব্যবহার না করে জোর দেয় ‘যৌন অধিকার’, ‘যৌন বৈচিত্র্য’, ‘যৌন শিক্ষা’ এবং ‘জেন্ডার আইডেন্টিটি`র মতো পরিভাষার ওপর। যদিও ঘুরেফিরে এই সব বুলির পেছনে মূল বক্তব্য এক যৌন বিকৃতির সামজিকীকরণ ও বৈধতা। ব্র্যাকের কর্মপদ্ধতি এলজিবিটি এজেন্ডা প্রতিষ্ঠা নিয়ে জনপরিসরে আলাপ তোলার কাজটা এগিয়ে নিয়ে যায় অনেক দূর।
এক্ষেত্রে ঢাল হিসেবে কাজ করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এনজিও হিসেবে ব্র্যাকের পরিচয় ও প্রভাব। পাশাপাশি পুরো ব্যাপারটাকে মুনশিয়ানার সাথে দেখানো হয়েছে ‘নিরীহ’ গবেষণা হিসেবে। ‘সমকামিতার বৈধতা চাই’ বলা হলে যেভাবে বাঁধা তৈরি হতো ‘গবেষণা’র ক্ষেত্রে তা হয়নি, বরং এভাবে তুলে ধরার ফলে অনেকের কাছে বিষয়টা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এই ‘অবদানের’ স্বীকৃতিও পায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৩ সালে বিলিয়নেয়ার জর্জ সরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন এক বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল তৈরি করে। এই তহবিলের জন্য পৃথিবীর ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়কে মনোনীত করা হয় যার মধ্যে একটি ছিল ব্র্যাক। এরপর থেকে ‘যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার’ নিয়ে ব্র্যাকের কার্যক্রম আরো বিস্তৃত হয়েছে।
আমাদের করণীয়
স্বল্প মেয়াদে করণীয় : শিক্ষাব্যবস্থায় যেন ধর্ম, নৈতিকতাকে গুরুত্বসহকারে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং ইসলামবিরোধী মতাদর্শ অন্তর্ভুক্ত করতে না পারে সেজন্য আন্দোলন করে সরকারকে চাপ দিতে হবে।
জনসচেতনতা তৈরি : সর্বস্তরের জনসাধারণ, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদেরকে ইসলামী আদর্শ ও নৈতিকতাবিরোধী সেক্যুলার মতাদর্শের ব্যাপারে সচেতন করতে হবে
লেখালেখি : ট্রান্সজেন্ডারসহ সকল ইসলাম বিরোধী এজেন্ডার বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে। মধ্য-মেয়াদে করণীয় : ইসলামী আদর্শ ও নৈতিকতাকে ভিত্তি করে নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন
রাজনৈতিক/সরকারি পরিকল্পনা : রাজনৈতিক দল এবং সরকারি উদ্যোগে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চিন্তাচেতনা, মূল্যবোধ ও আদর্শকে সমুন্নত রেখে শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে পরিকল্পনা নিতে হবে।
দীর্ঘ-মেয়াদে করণীয়: জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেশজ শিক্ষানীতির বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়ন ও এর বাস্তবায়ন: জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেশের জনসাধারণের মূল্যবোধ, সংস্কৃতি, ধর্ম ও আদর্শকে ভিত্তি করে শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের রূপরেখা তৈরি করা এবং তা বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করা।
এছাড়াও প্রাইভেট প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের মাধ্যমে তৃণমূল এ নতুন প্রজন্মের মধ্যে দ্বীনি, নৈতিক ও দেশপ্রেম- মানবতাধর্মী চিন্তা-চেতনা সঞ্চারিত করার প্রচেষ্টা নেয়া। বাড়িঘর, মসজিদ-ধর্মালয় ও পরিবারে নৈতিক শিক্ষার দৃঢ় বুনিয়াদি শিক্ষা চালু করতে হবে। এর সাথে মক্তব ব্যবস্থার পুনঃপ্রচলন করা।ইউটিউব চ্যানেল, টেলিভিশন, ফেসবুক সহ সকল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নৈতিক, ধর্মীয় ও দেশপ্রেমভিত্তিক আদর্শ শিক্ষা প্রচার করা।
জাতীয় ও জেলাভিত্তিক ব্যাপক শিক্ষা প্রচারের জন্য ইসলামী শিক্ষা, ইসলামী সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যভিত্তিক অলিম্পিয়াড আয়োজন করা। টেলিভিশন/ রেডিও/ সংবাদপত্র/মেগাজিন/ বইপুস্তকে আদর্শভিত্তিক দ্বীনি ও নৈতিক শিক্ষা সংবলিত শিক্ষা চালু করা।
পার্থিব জীবনের প্রয়োজনে যত প্রকার বিদ্যা শিক্ষা করতে হয় সেসবকে ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে শিক্ষা দিতে হবে।উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে ইসলামের সাথে মানবরচিত বিধানের তুলনামূলক আলোচনার মাধ্যমে ইসলামের যৌক্তিকতা ও শ্রেষ্ঠত্ব শিক্ষার্থীদের মনে বদ্ধমূল করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :