গাজায় দুই বছরের কম বয়সের প্রতি তিনটি শিশুর মধ্যে একটি শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে বলে জানিয়েছে ইউএনআরডব্লিউএ।শনিবার (১৬ মার্চ) ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টিন রিফিউজি (ইউএনআরডব্লিউএ) থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বলা হয়, গাজায় চরম অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে এবং নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে।
গাজা যুদ্ধের পাঁচ মাস গড়িয়েছে। ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গাজা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। সেখানকার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় সবাই গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং সবাই বড় ধরনের মানবিক সংকটের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে।গাজার হাসপাতালগুলোতে শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগে এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।এদিকে, গাজার মানবিক পরিস্থিতি এখন সেখানকার মা ও শিশুদের জন্য ‘দুঃস্বপ্নময়’ হয়ে উঠেছে। চিকিৎসকরা বলছেন এখন গাজায় যেসব বাচ্চা জন্মাচ্ছে তারা ছোট ও অসুস্থ হয়ে জন্ম নিচ্ছে। মায়েরা মৃত বাচ্চা প্রসব করছেন এবং পর্যাপ্ত অ্যানেসথেশিয়া ছাড়াই প্রসূতি নারীদের অস্ত্রোপ্রচার করতে হচ্ছে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) জেরুজালেম থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এসব কথা বলেন ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) প্রতিনিধি ডমিনিক অ্যালেন।অ্যালেন বলেন, চলতি সপ্তাহে ব্যক্তিগতভাবে আমি গাজা ত্যাগ করছি। কিন্তু এখানকার ১০ লাখ নারীর জন্য উদ্বেগ হচ্ছে; বিশেষ করে প্রতিদিন ১৮০ নারী মা হচ্ছে তাদের জন্য। চিকিৎসকরা বলছেন, তারা অনেকদিন থেকে গাজায় স্বাভাবিক আকৃতির বাচ্চা জন্ম নিতে দেখেননি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আকস্মিক হামলা চালানোর পর গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরাইল। গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, এ হামলায় এখন পর্যন্ত ৩১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
আপনার মতামত লিখুন :