বাংলাদেশ শনিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১

ইফতারের পর ফেলে দেয়া খাদ্য থেকে তৈরি হচ্ছে জৈব সার

দৈনিক প্রথম সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম

ইফতারের পর ফেলে দেয়া খাদ্য থেকে তৈরি হচ্ছে জৈব সার

পবিত্র রমজানে প্রতিদিন ইফতারের পর অনেকেই খাবার ফেলে দেন। ফেলে দেয়া সেই খাবার থেকেই তৈরি হচ্ছে জৈব সার। যা ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলের ক্ষেতে।ইফতারের পর ফেলে দেয়া খাবার থেকে জৈব সার তৈরির এই উদ্যোগ নিয়েছে মালয়েশিয়ার এক রাজ্য কর্তৃপক্ষ। বর্জ্যের পরিমাণ কমাতে দেশটির পাহাং রাজ্যে পবিত্র রমজান মাসে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়। কারণ এই সময়ে প্রতিদিন বিশাল পরিমাণ খাবার ফেলে দেয়া হয়।

 বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের ন্যায় মালয়েশিয়ার জন্যও খাদ্য অপচয় ও এর থেকে সৃষ্ট খাদ্য বর্জ্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে প্রতিদিন ১৩ হাজার টনের বেশি খাদ্য বর্জ্য তৈরি হয়। যা পবিত্র রমজান মাসে আরও বেড়ে যায়।এসব খাদ্য বর্জ্যের বেশিরভাগই শহরগুলোর পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিভিন্ন নিচু জমিতে ফেলে ভরাট করা হয়। যার কারণে পরিবেশ দূষণ ঘটছে। এ সমস্যার সমাধানের প্রচেষ্টা হিসেবে মালয়েশিয়ার মধ্যাঞ্চলে দেশের অন্যতম বড় রাজ্য পাহাংয়ে খাদ্য বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

 সার তৈরির জন্য পাহাং রাজ্যের রাজধানী কুয়ানতানের কেন্দ্রেীয় এলাকায় একটি পার্কে একটি ভ্রাম্যমান মেশিন বসানো হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে দিনব্যাপী রোজা রাখার পর সন্ধ্যায় ইফতার করতে বহু পরিবার এই পার্কেই জড়ো হয়।

 আরও পড়ুন: ৩৮ বছর ইসরাইলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি লেখকের মৃত্যু

 কিন্তু ইফতারে অনেকেই খাবার অপচয় করেন। এমনকি সেই খাবার এখানে-ওখানে ফেলে দেন। এই সব খাদ্য বর্জ্য কুড়িয়ে মেশিনের মাধ্যমে তা থেকে তৈরি করা হচ্ছে জৈব সার।

 সার তৈরির কাজটা করছে পাহাংয়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সলিড ওয়েস্ট অ্যান্ড পাবলিক ক্লিনজিং ম্যানেজমেন্ট কর্পোরেশন। কর্পোরেশনের পরিচালক শারুদিন হামিদ বলেন, গত বছর ‘পাইলট প্রজেক্ট’ হিসেবে খাদ্য বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরির কাজ শুরু হয়।এই প্রকৌশলী জানান, ফেলে দেয়া খাবার থেকে প্রতিদিন ২৫ কেজি জৈব সার তৈরি করা হচ্ছে। পাহাংয়ের জনগণের সৃষ্ট শত শত টন খাদ্য বর্জ্যের তুলনায় যা নিতান্তই সামান্য।

 তবে জৈব সার তৈরিই এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য নয় বলে জানান শারুদিন। তার মতে, খাবার অপচয়ের ব্যাপারে জনসচেতনতা বাড়ানোও অন্যতম লক্ষ্য। শারুদিন বলেন, 

এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য এটা নিশ্চিত করা যে খাদ্য বর্জ্য যেন ভাগাড়ে না যায়।

তিনি আরও বলেন, 

এটি এরই মধ্যে আমাদের অভ্যাসের ওপর একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। কারণ মানুষ পরিবেশ সংরক্ষণ সম্পর্কে আরও সচেতন হচ্ছে। বিশেষ করে খাদ্য বর্জ্য হ্রাসের ব্যাপারে। 


 

Link copied!

সর্বশেষ :