গভীর রাতে পরিত্যক্ত একটি কুয়ায় পড়ে গিয়েছিল একটি বিড়াল। সেটিকে উদ্ধার করতে নেমে একে একে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এছাড়া আরেকজনকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত একটি কুয়াতে গভীর রাতে একটি বিড়ালকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় এক ব্যক্তি বিড়ালটিকে উদ্ধার করতে নামেন। কিন্তু অনেকক্ষণ হয়ে গেলেও তিনি না উঠায় আরেকজন নামেন। পরে তিনিও না উঠায় আরেকজন নামেন। এভাবে পাঁচজন নামলেও কেউ উপরে উঠে আসেননি।
পরে আরেকজন কোমরে দড়ি বেঁধে নামেন। তাকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। পরে পুলিশ ও উদ্ধারকারী বাহিনী এসে বাকিদের মরদেহ উদ্ধার করে। মৃতরা হলেন মানিক গোবিন্দ কালে, সন্দীপ মানিক কালে, বাবলু অনিল কালে, অনিল বাপুরাও কালে এবং বাবাসাহেব গায়কওয়াড়।
স্থানীয় নেভাসা থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর ধনঞ্জয় যাদব জানান, পরপর ৫ জন ওই কুয়ায় নেমেছিলেন। কিন্তু তাদের কেউই জীবিত অবস্থায় উঠে আসেননি। যে ব্যক্তি কোমরে দড়ি বেঁধে কুয়ায় নেমেছিলেন, তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিজয় মানিক নামের ওই ব্যক্তি বর্তমান অবস্থা স্থিতিশীল।
তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, উদ্ধারকারী দলের গাফলতির কারণেই এতজনের মৃত্যু হয়েছে। সবাইকে কুয়া থেকে উদ্ধার করতে তাদের পাঁচঘণ্টা সময় লেগেছে। আরও দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করা গেলে আরও কাউকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হতো।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত থাকায় কুয়াটিতে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়েছিল। সেই গ্যাসের কারণেই কুয়ায় নামা লোকদের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :