রাঙামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনায় বাস সিএনজি ও ট্রাক ভাংচুর এবং শ্রমিক আহত ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে এক যৌথ সভায় ট্রাক, মাইক্রোবাস মালিক সমিতির নেতারা তিন পার্বত্য অঞ্চলে আজ শনিবার সকাল থেকে ৭২ ঘণ্টার সড়ক ও নৌপথ অবরোধ এবং রাঙ্গামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছেন। হতাহতের সুষ্ঠু সমাধান ও যানবাহনের ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
খাগড়াছড়ির পাহাড়ি- বাঙালি সংঘর্ষের রেশ পার্শ্ববর্তী জেলা রাঙামাটিতে ছড়িয়ে পরে। এতে এই দুই পার্বত্য জেলায় ৪ জন নিহত এবং আনুমানিক ৮০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গতকাল শুক্রবার দুই জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন এবং সেনা, পুলিশ ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
রাঙামাটিতে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ১ জন, এছাড়াও সংঘর্ষের ঘটনায় ৩টি বাস, ৪টি সিএনজি, ১২টি ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে আহত হন ৬ জন বাস চালক ও হেলপার এবং ৩০ থেকে ৩৫ জন সিএনজি চালক তাদের মধ্যে ২ জন গুরুতর আহত আরও আহত হয়েছেন ১২ জন ট্রাক চালক।
অবরোধের শুরুতেই খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে আজ ৭২ ঘণ্টার দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলছে না। তবে এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন জন সাধারণ। অবরোধের শুরুতে আজ সকাল থেকেই খাগড়াছড়ির সঙ্গে চট্টগ্রাম ও ঢাকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। চলছে না খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম যাত্রাপথে চলাচলকারী শান্তি পরিবহনের বাস। চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেনের মোড়ের কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হয়নি কোনো টিকেট। চলছে না (বিআরটিসি) বাসও । এছাড়াও চলছে না আন্তউপজেলায় চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশাও। বিভিন্ন উপজেলা এবং সাজেকগামী গাড়িগুলো অবরোধের জন্য বন্ধ রয়েছে।
এদিকে রাঙামাটি ও বান্দরবানে একই অবস্থা। বন্ধ রয়েছে রাঙ্গামাটির পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ও বান্দরবানের পূরবী এবং পূর্বাণী বাস। শুধু মাত্র বাস নয়, তিন জেলার সঙ্গে পণ্য পরিবহনর ট্রাক ও পিকআপ গাড়ি চলাচলও বন্ধ। এমনকি বন্ধ আছে শহরের স্বল্প দূরত্বে চলাচলকারী সিএনজি চালিত অটোরিকশাও। এছাড়াও অবরোধে দোকান পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখার নির্দেশ রয়েছে।
আজ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি সরকারি প্রতিনিধিদল দুই জেলা পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :