উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ভোরবেলা দেখা গেল ঘন কুয়াশা। ভোরের আলোয় চকচক করছে সবুজ ধানের ডগায় ও চা-গাছের পাতায় পাতায় শিশির ফোটা।সেই শিশির ঝরা ঘাস উপেক্ষা করে চাষীরা যাচ্ছে তাদের সবুজ ফসলের ক্ষেতে। এ যেন কোন শীতের সকালেরই দৃশ্য। শরৎ এর এই ঘন কুয়াশাই আগমনী বার্তা দিচ্ছে শীতের।
তেঁতুলিয়ায় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে গতকাল সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে সর্বনিম্ন ২৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এর আগে শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তা ধীরে ধীরে কমে আসছে। গত তিন দিন ধরেই এরূপ আবহাওয়া বিরাজ করছে।
শরৎকালের মাঝামাঝি সময়ে এ অঞ্চলে ভোরে ঘন কুয়াশা, দিনে গরম এবং রাতে শীত এর মত বিরূপ আবহাওয়া বিরাজ করে থাকে। হিমালয় পর্বত ও কাঞ্চনজঙ্ঘা এ অঞ্চলের সন্নিকটে তাই এ অঞ্চলে শীতের আগমন ঘটে অন্যান্য জেলার আগেই। পর্বতমালার প্রবাহমান হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাওয়ায় আগেই শীত অনুভূত হয় এ এলাকায়।
আবহাওয়াবিদদের মতে, আশ্বিন মাসে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কমে যায় এবং উত্তরীয় বায়ুর প্রভাব থাকায় শেষ রাতে শীত নেমে আসে, ফলে ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর নিস্ক্রিয় হওয়া শুরু করলেই সারাদেশে হালকা ধরনের শীত পড়বে। তবে তেতুলিয়ার স্থানীয়রা বলছে ভোর থেকেই ঘন কুয়াশা থাকলেও শীত একদম নেই বললেই চলে। এমনকি দিনের বেলায় প্রচুর গরম হওয়ার সমস্যা হচ্ছে দৈনন্দিন কাজকর্মে।
পরিবেশবিদদের মতে উত্তরে আশ্বিনেই পৌষের কুয়াশা, এ যেন জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াল অশনিসংকেত! তবুও মানুষের সবুজায়ন সৃজনে নেই কোনো আগ্রহ। এবার অন্তত পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। এখনো সচেতন না হলে সুদূর ভবিষ্যতে এর দুর্ভোগ পোহাতে হবে হিমালয়ের পাদদেশে থাকা উত্তরবঙ্গ তথা গোটা দেশকে।
আপনার মতামত লিখুন :