বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল থেকেই চলছিল নির্মাণাধীন ভবনটির ছাদ ঢালাইয়ের কাজ। সন্ধ্যার পর হঠাৎ ছাদের সামনের অংশ ধসে পড়ে। বিকট শব্দে ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন।
অভিযোগ রয়েছে, স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো প্রকৌশলীর তদারকি ছাড়াই অনেক দিন ধরে ভবনটিতে নির্মাণ চলছে। তদারকির জন্য একজন প্রকৌশলী নিয়োগ করা থাকলেও বেশির ভাগ সময় অনুপস্থিত থাকেন তিনি। ছাদ ধসের ঘটনার সময়ও উপস্থিত ছিলেন না স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো প্রকৌশলী।
স্থানীয়রা বলছেন, নিম্নমানের কাজের কারণেই ঘটেছে এ দুর্ঘটনা।
তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মো. রাহাতের দাবি, ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। শ্রমিকদের গাফিলতির কারণে সেন্টারিংয়ে তত্রুটির কারণে ঘটেছে এ দুর্ঘটনা।
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীসহ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে জেলা সিভিল সার্জন ডা. এসএম কবির হোসেনের মুঠোফোনে বার বার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
২০১২ সালে রাঙ্গাবালী উপজেলা গঠিত হলেও দীর্ঘ দিনেও এখানে নির্মাণ হয়নি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে চরাঞ্চলের দুই লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর নির্মাণ কাজ পায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের মালিকানাধীন প্রাইম কনস্ট্রাকশন। ১০ হাজার স্কয়ার ফুটের ভবনটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ কোটি টাকা।
আপনার মতামত লিখুন :