রাষ্ট্রপতি বলেন, বৈশাখের আগমনে বেজে ওঠে নতুনের জয়গান। দুঃখ, জরা, ব্যর্থতা ও মলিনতাকে ভুলে সবাই জেগে ওঠে নব আনন্দে, নব উদ্যমে। ফসলি সন হিসেবে মোগল আমলে যে বর্ষ গণনার সূচনা হয়েছিল, সময়ের পরিক্রমায় তা আজ সমগ্র বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। পয়লা বৈশাখের মাঝে বাঙালি খুঁজে পায় নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ।
সাহাবুদ্দিন বলেন, “বৈশাখ শুধু উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি আমাদের আত্ম-উন্নয়ন এবং আমাদের বৃদ্ধির প্রেরণার সাথে সম্পর্কযুক্ত। পয়লা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তির এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি। সংস্কৃতির এই শক্তি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক বিকাশে রাজনৈতিক ব্যবস্থার চেতনাকে শক্তিশালী ও ত্বরান্বিত করে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ধর্ম-বর্ণ-গোত্রনির্বিশেষে সবাই মিলে নাচ-গান, শোভাযাত্রা, আনন্দ-উৎসব, হরেক রকম খাবার ও বাহারি সাজে বৈশাখকে বরণ করে নেয় উৎসবপ্রেমী বাঙালি জাতি। নতুন বছরে যাত্রাপালা, পুতুলনাচ, লোকসংগীত, গ্রামীণ খেলাধুলা, মেলাসহ নানাবিধ বর্ণিল আয়োজন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয় আনন্দ ও সম্প্রীতির নতুন বার্তা।
আপনার মতামত লিখুন :