ঈদ আনন্দ উদযাপনে যাত্রাপথ থেকেই ঘরমুখী মানুষের চোখেমুখে আনন্দ ফুটে উঠেছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় উত্তরবঙ্গের প্রতিটি ট্রেনেই উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। সেই তুলনায় পূর্বাঞ্চলের ট্রেনে কিছুটা চাপ কম। নেই শিডিউল বিপর্যয়। বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল। এদিকে, ধীরে ধীরে যাত্রীচাপ বাড়ছে সড়ক-মহাসড়কে। যানজট না থাকায় একের পর এক ছুটে চলছে গাড়ি।
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে প্লাটফর্মে ট্রেন থামা মাত্রই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন যাত্রীরা। আসন দখলের এ প্রতিযোগিতায় যে যেভাবে পারছেন উঠছেন কামরায়। কেউ দরজা, কেউবা জানালা দিয়ে ঢোকার প্রানান্তকর প্রচেষ্টা করতে দেখা গেছে। শুধু নাড়ির টানে বাড়ি ফিরে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেই এমন যুদ্ধ ঘরমুখী মানুষের।
ঈদযাত্রার সোমবার (০৮ এপ্রিল) ৬ষ্ঠ দিন উত্তরবঙ্গের প্রতিটি ট্রেনেই ছিল উপচেপড়া ভিড়। পায়ে হাঁটার পথও বন্ধ হয়ে যায় ট্রেনগুলোতে। ঠাসাঠাসি আর গাদাগাদিতে যেন তিল ধারনের ঠাই নেই। ভ্যাপসা গরমে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা। তবে প্রতিটি ট্রেনই কমলাপুর থেকে নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে গেছে।যাত্রীচাপ বাড়লেও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে রেলওয়ে। বলছে এবার ছাদে উঠতে দেয়া হবে না কাউকে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার জানান,
এবার ছাদে কেউ না উঠতে পারে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়াও কেউ বিনা টিকিটে যাত্রাও করতে না পারে, সেটারও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ট্রেনের ছাদে যাত্রা আসলে যাত্রীদের জন্য জীবন ঝুঁকি, তাই সেখানে উঠতে বারণ করা হয়।
এবার ঈদেই প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতু দিয়ে পাড়ি দিচ্ছে ট্রেন। স্বপ্নের পথ পাড়ি দিতে দৈনিক চার জোড়া ট্রেন পাড়ি দিচ্ছে স্বপ্ন সেতু। মাত্র সাত মিনিটে পদ্মা পাড়ি দিয়ে খুশি যাত্রীরা।
এদিকে ধীরে ধীরে যাত্রীচাপ বাড়ছে সড়ক-মহাসড়কে। রাজধানীর শ্যামলী, কল্যাণপুর, গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালীসহ প্রতিটি বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রী চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে অনলাইনে টিকিট জটিলতা না থাকলেও দূরপাল্লার যাত্রায় বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
স্বস্তির খবর এবারের ঈদ যাত্রায় সড়ক পথে অন্যান্য বছরের মতো যানজট চোখে পড়েনি।
আপনার মতামত লিখুন :