বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ কুমিল্লার দেবীদ্বার নিউমার্কেটের কাঁচাবাজার পরিদর্শনকালে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কেউ চাঁদাবাজি করতে এলে তাকে ধরে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে দ্রুত পুলিশে খবর দেবেন। শুক্রবার বিকেলে এ পরিদর্শনকালে তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলেন এবং বাজারে চলমান সংকট নিয়ে আলোচনা করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, "গত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দোসররা বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করে দ্রব্যের দাম বাড়িয়েছে। চাঁদাবাজি ও কালোবাজারির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে ফেলে দিয়েছে। এ ধরনের চাঁদাবাজ ও সিন্ডিকেটকারীদের নতুন বাংলাদেশে কোনো জায়গা হবে না। যারা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করবে, তাদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিন।"
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, শুধু চাঁদাবাজদের চেহারা বদলেছে। নীরবে এখনও চাঁদাবাজি চলছে। জনগণের রক্ত ও লাশের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে এই চাঁদাবাজদের ঠাঁই হবে না।”
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "আপনারা নিজেরা সিন্ডিকেট তৈরি করবেন না এবং কোনো সিন্ডিকেটের কবলে পড়বেন না। সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কিনে ন্যায্যমূল্যে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিন। অতিরিক্ত মুনাফার চিন্তা না করে সাধারণ মানুষের জন্য নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখুন। দেশ পুনর্গঠনের কাজ চলছে এবং এ কাজে আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন।"
পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যায় হাসনাত আবদুল্লাহ ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবদুর রাজ্জাক রুবেলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং তাদের খোঁজখবর নেন। এ সময় দেবীদ্বার উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দও তার সঙ্গে ছিলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, "আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। এ বাংলাদেশে জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনকারী, কালোবাজারি, চাঁদাবাজ ও বাজার সিন্ডিকেটের কোনো স্থান থাকবে না। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে আমরা একটি স্বনির্ভর ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।"
আপনার মতামত লিখুন :