এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে ফলের ক্রেটের সাথে হেলান দিয়ে। আরেক নারীর নিথর দেহ তার পায়ে মাথা রেখে শুয়ে আছে। তার পাশে বসে আছে আরেক পাগলা মহিলা। রক্তে পিচ্ছিল হয়ে দুই হাতে ফোনটা ধরলেন, কাউকে ডেকে বললেন, আমাদের সব শেষ, শীঘ্রই সদরঘাটে আসুন। তিনি মৃত! এই পরিবারের পাশে শার্ট ও ট্রাউজার পরা আরও দুটি লাশ পড়ে আছে। দুজনের শরীরই নিজেদের রক্তে ভিজে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে সদরঘাট লঞ্চঘাটে আনন্দঘন পরিবেশ মুহূর্তেই শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পন্টুনের সামনে ‘তাশরিফ-৪’ ও ‘পূবালী-১’ নামের দুটি নৌকা তারের সঙ্গে বাঁধা ছিল। 11. ফারহান নামে আরেকটি লঞ্চ চালু করার সময়, দুটি লঞ্চের মাঝখানে একটি তারের তাসরিফ 4 লঞ্চ ভেহিকেলটি ভেঙে যায়। নৌকায় ওঠার সময় পড়ে পাঁচ যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। সদরঘাট ফায়ার স্টেশন থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। হতাহতদের নাম এখনও জানা যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :