চুইঝাল (বা চই ঝাল, বৈজ্ঞানিক নাম: Piper chaba) হচ্ছে পিপারাসি পরিবারের সপুষ্পক লতা। এটি দেখতে পানের লতার মতো, পাতা কিছুটা লম্বা ও পুরু। পাতায় ঝাল নেই।চুইঝাল দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থানীয় প্রজাতি। এটি গোটা ভারত এবং এশিয়ার অন্যান্য উষ্ণ এলাকাসহ মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিংগাপুর ও শ্রীলংকায় জন্মে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে, বিশেষ করে খুলনা বিভাগের রন্ধনশৈলীতে চুইঝালের ব্যবহার ব্যাপক। চুইঝালের কাণ্ড বা লতা কেটে ছোট টুকরো করে মূলত- মাংস রান্নায় ব্যবহার করা হয়। রান্নার পর এই টুকরো চুষে বা চিবিয়ে খাওয়া হয়। চুইঝালের স্বাদের এই চুইয়ের রয়েছে নিজস্ব আলাদা স্বাদ ও ঘ্রাণ।
চুইঝালের ঔষধি গুণও অসামান্য। এটি গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান করে, ক্ষুদামন্দা দূর করে, শ্বাসকষ্ট কমাতে, কফ ও কাশি দূর করে, ঘুমের ওষুধ হিসেবে কাজ করে, শারীরিক দুর্বলতা কমাতে, বাচ্চাপ্রসবের পর শরীরের ব্যথা কমাতে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর উপকার করে।
চুই ঝালের উপকারিতা
- পাকস্থলীর সমস্যা দূরীকরণে
- মানসিক প্রশান্তিতে
- ব্যথা দূর করতে
- ঘুমের ঔষধ
- প্রসব পরবর্তী ব্যথা প্রশমনে
- রুচি বাড়াতে
- ক্যান্সার প্রতিরোধে
- হৃদরোগ প্রতিরোধে
চুই ঝালের উন্মোচন-রিসিপি
চুই ঝালের উন্মোচন একটি স্বাদপূর্ণ খাবার। এটি খুলনা অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী মসলা চুই ঝালের কাণ্ড বা লতা থেকে তৈরি হয়। এটি মাংস রান্নায় ব্যবহার করা হয় এবং রান্নার পর এই টুকরো চুষে বা চিবিয়ে খাওয়া হয়। চুই ঝালের স্বাদের একটি বিশেষ স্বাদ ও ঘ্রাণ আছে। দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের খুলনা অঞ্চলে এটি জনপ্রিয় ফসল হিসেবে চুই ঝালের কদর দেশজুড়ে। চুই ঝালের কাণ্ডে রয়েছে ১৩.১৫ শতাংশ পিপারিন, যা এটিকে আরও স্বাদপূর্ণ করে।
চুই ঝাল খাওয়ার নিয়ম
এটি মূলত- মাংস রান্নায় ব্যবহার করা হয়। মাংস ধুয়ে লবণ ও টকদই দিয়ে মেখে ১ ঘণ্টা রাখুন। তেল গরম করে পেঁয়াজ ভেজে তাতে সব মসলা কষিয়ে, চুইঝাল ও আলু দিয়ে কয়েকবার কষান। পরে পানি দিন। মাংসের ঝোল শুকিয়ে তেলের ওপর এলে গরম মসলার গুঁড়া, জিরা ভাজা গুঁড়া ও সব শেষে লেবুর রস দিয়ে নামিয়ে নিন। এ ভাবেই মজাদার চুই ঝাল রান্না করতে পারেন।
চুই ঝাল খাওয়ার নিয়ম অনুসরণ করলে আপনি এই স্বাদমতো গাছের উপকারিতা পাবেন। চুই ঝাল একটি পিপারাসি পরিবারের সপুষ্পক লতা। এর কাণ্ড ধূসর এবং পাতা পানের মতো, সবুজ রংয়ের। চুই ঝাল খেতে ঝাল হলেও এর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুণ। এটি মূলত- মাংস রান্নায় ব্যবহার করা হয়। রান্নার পর এই টুকরো চুষে বা চিবিয়ে খাওয়া হয়। চুই ঝালের স্বাদে একটি নিজস্ব আলাদা স্বাদ ও ঘ্রাণ রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :