শিবালয় উপজেলার আরিচা ঘাট এলাকায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং মেশিনের পাইপে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং অফিসের সামনে ঘটে এবং প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ফায়ার সার্ভিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ এখনো চলছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পাইপে আগুন লাগার খবর ড্রেজার অফিসে জানানো হলেও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলা এবং গড়িমসির ফলে আগুন উত্তরদিক থেকে আসা বাতাসে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কর্মকর্তারা অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বিআইডব্লিউটিএ জানায়, নদীতে ড্রেজিংয়ের সময় পাইপ ভাসমান রাখতে ফোম দিয়ে তৈরি পলিথিন আচ্ছাদিত বয়া ব্যবহার করা হয়। জুন মাসে ড্রেজিংয়ের জন্য আনা এই আট ফুট উঁচু এবং ১৬ ফুট ব্যাসের পাইপগুলো আরিচা পুরাতন লঞ্চঘাটের চর এলাকায় রাখা হয়েছিল।
মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ মিয়া জানান, সকাল পৌনে নয়টার দিকে খবর পেয়ে শিবালয় ও ঘিওর উপজেলা থেকে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুনের সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ বলেন, প্রথমে স্থানীয়ভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পেছনে নাশকতার সন্দেহ করছেন তিনি। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
বিআইডব্লিউটিএ’র ওয়াচম্যান তোতা মিয়া জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লোকজনের চিৎকার শুনে তিনি অফিস থেকে বের হয়ে আগুন দেখতে পান। এই পাইপগুলো ড্রেজিংয়ের কাজে ব্যবহারের জন্য স্তূপ করে রাখা ছিল, যার মধ্যে ২০-২৫টি পাইপে আগুন লাগে।
ড্রেজিং ইউনিটের অন্যান্য কর্মকর্তারা জানান, নদীর পাড়ে দীর্ঘদিন ধরে রাখা পাইপগুলো পাহারা বা নজরদারি করার জন্য কোনো লোক নিযুক্ত ছিল না। এতে আগুনের সঠিক কারণ নির্ণয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং পাইপে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তাধীন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুনের সঠিক কারণ নির্ধারণের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :