বাংলাদেশ শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১

কক্সবাজারে তালাশ টিমের ওপর হামলা, ক্র্যাবের নিন্দা

দৈনিক প্রথম সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৪, ১২:০৯ এএম

কক্সবাজারে তালাশ টিমের ওপর হামলা, ক্র্যাবের নিন্দা

ছবি: প্রথম সংবাদ

পর্যটন নগরীর রাজভীর রিসোর্টে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে রোববার সন্ধ্যায় তালাশ টিমের সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালান ওই রিসোর্টের মালিক নোমানুল হক সাজিম ও তার লোকজন। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় জিডি করা হয়েছে।

কক্সবাজারে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার হয়েছেন ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার নাজমুল সাঈদ ও সিনিয়র চিত্র সাংবাদিক কাজী মোহাম্মদ ইসমাইলসহ স্থানীয় কোহেলিয়া টিভির সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন রাব্বানী।

রোববার সন্ধ্যায় পর্যটন নগরীর রাজভীর রিসোর্টে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালান ওই রিসোর্টের মালিক নোমানুল হক সাজিম ও তার লোকজন।

এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)।

ক্র্যাবের দফতর সম্পাদক কামাল হোসেন তালুকদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়। সংগঠনটির সভাপতি কামরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, কক্সবাজারের পর্যটকসমৃদ্ধ এলাকায় হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যায়। এর একটি বাস্তব দৃশ্য ধারণ করার জন্য নাজমুল সাঈদ ও তার টিম তালাশ কক্সবাজারের রাজভীর রিসোর্টে অনুসন্ধানে যায়। সংবাদ সংগ্রহের স্বার্থে নগদ টাকা দিয়ে রুম বুক করেন তারা। সেখানে অবস্থান করে তালাশ টিম ইয়াবা বিক্রি ও অসামাজিক কার্যাকলাপ গোপন ক্যামেরায় ধারণ করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরে তালাশ টিমের পরিচয় দিয়ে সংশ্লিষ্ট রিসোর্ট মালিকের বক্তব্য নিতে গেলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন নোমানুল হক সাজিম। এক পর্যায়ে হামলা ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালান তারা। এ সময় সাজিম বাহিনীর সদস্যরা তালাশ টিমকে চারদিক থেকে ঘিরে রাখে। ঘটনার এক পর্যায়ে টিম তালাশকে ভুয়া প্রমাণ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সাজিম বাহিনী। তার মাসোহারাভুক্ত ভুয়া সাংবাদিকদের দিয়ে শুরু করেন অপপ্রচার। বাকবিতণ্ডার একটি খণ্ডিত অংশ দিয়ে নিজেদের অপকর্ম আড়ালের মিশনে নেমে পড়ে সাজিম বাহিনী।

হামলার ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় তালাশ টিমের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর থানার ওসি কাইছার হামিদ বলেন, ‘হামলার বিষয়ে আপাতত কোনো তথ্য দিতে পারছি না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালাশ টিমের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানাতে পারব।’

প্রসঙ্গত, রিসোর্ট মালিক সাজিম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ইয়াবা কারবার, ছিনতাই, চুরি, দখলসহ নানা অপরাধে ১৮টির বেশি মামলা রয়েছে। সাজিম এর আগেও বিভিন্ন অপরাধের কারণে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। কক্সবাজারের চিহ্নিত অপরাধীর তালিকাতেও রয়েছে তার নাম।

Link copied!

সর্বশেষ :